২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৬ অপরাহ্ন, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মো: জাকিরুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি::-
আলমডাঙ্গায় কালিদাসপুরে পরিবেশ আইন লংঘন করে গড়ে উঠেছে ইটভাটা কাঠ দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ইটনেই প্রশাসনের নজরদাড়ি। এ কারণে ব্যাপকভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। দূষণে আশপাশের বাড়িঘর, ফসলি জমি, ফলের গাছ, জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় নেওয়ার ও খড়ি হিসেবে কাঠ পোড়ানোর মহোৎসব চলছে । একনাগাড়ে চলছে অবৈধভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি কেটে ভাটায় নেওয়ার ও কাঠ পোড়ানোর কাজ। জমি সসংস্কার ও পুকুর খননের নামে কৃষি জমির মাটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটাতে। এদিকে, একের পর এক কৃষি জমি থেকে এভাবে মাটি কেটে নেয়ায় জমি হারাচ্ছে তার উর্বরতা,আবার অন্যদিকে কমে যাচ্ছে কৃষি জমির পরিমাণও কালিদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে অবস্থিত কে এম বি ভাটায় দেখা গেছে ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় নেওয়া ও ইট পোড়ানোর কাজে গাছ কেটে খড়ি হিসেবে পোড়ানোর দৃশ্য। এ বিষয়ে ভাটা মালিক খালেক মিয়ার সাথে কথা বলে ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় নেওয়া ও ভাটায় খড়ি হিসেবে গাছ পড়ানোর বিষয়ে সরকারি কোনো অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জমির মাটি কেটে আমার ভাটায় নিচ্ছি এখানে অনুমোদনের কি দরকার ,আমার সরকারি কোনো অনুমোদন নেই। আর খড়ি পড়ানোর বিষয়ে অনুমোদন আছে, কিন্তু কোথা থেকে অনুমোদন দিয়েছে তা আমি বলতে বাধ্য নই। বর্তমান সরকার কৃষি উন্নয়নের জন্য নানামুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সরকার কৃষি খাতেকে উন্নয়নের শীর্ষে পৌছানোর লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সার ও কীটনাশক বিতরণ করছে। ঠিক তখনই কিছু সাধারন মমানুষ ও ভাটা মালিক মেতে উঠেছে কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির কাজে। জমি মালিক মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আবাদি জমির মাটি কেটে জমি নষ্টে সহায়তা করছে মাটি ব্যবসায়ীদের।ইট ভাটার আগ্রাসনে ফসলী জমি যেমন বিনষ্ট হচ্ছে,তেমনি উজার হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বিপর্যস্ত হচ্ছে,পরিবেশ।ফসলি জমি ধ্বংস করে ইটভাটায় ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির উর্বর ও সারযুক্ত উপরিভাগের মাটি। এতে করে জমির উর্বরা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। জমি হারিয়ে ফেলছে ফসল উৎপাদন ক্ষমতা। তেমনি এসব ইট ভাটায় সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ভাটার কালো বিষাক্ত ধোয়ায় এলাকার ফসল,গাছ-গাছালি বিনষ্টের পাশাপাশি পরিবেশের চরম ক্ষতি করছে। ফসলি জমি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর উচ্ছেদ করলেও সেগুলোর অধিকাংশ আবারো নতুন করে গড়ে উঠছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই উচ্ছেদ করা অবৈধ ইট ভাটা আবারো নতুন করে কিভাবে গড়ে উঠছে,তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে,পরিবেশ প্রেমিরা।এসব ইটভাটায় ইট তৈরীর জন্য কাটা হচ্ছে, জমির উপরিভাগের মাটি।