২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জলিলুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার
বরগুনার তালতলীতে ক্রয়করা জমি চাষাবাদ করতে পারছেন সোহরাফ গাজি নামের এক বৃদ্ধা। প্রভাবশালীদের কাছ থেকে নিজের জমি মুক্ত করতে সরকারের সহযোগিতা চায় লোকটি।
শনিবার(২৯আগষ্ট) বেলা ১১ টার দিকে তালতলী সাংবাদিক ফোরামে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন সোহরাফ গাজিসহ তার পরিবার।
উপজেলা হওয়ার আগে আমতলী উপজেলাধীন থাকাকালীন সময় প্রায় ১৪ বছর আগে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের জকির তবক এলাকার মৃত চানমিয়া ও তার ছেলে মনিরের কাছ থেকে ৫৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন একই সোহরাফ গাজি। শুরু থেকে জমি চাষাবাদ করতে দিলেও বিগত ৪ বছর যাবৎ জমিতে চাষাবাদ করতে বাদা দেয় চানমিয়ার ছেলে মনিরসহ তার ভাইরা। পরে সোহরাফ গাজি আইনের আশ্রয় নিয়ে জমি বুঝিয়া পাওয়ার জন্য থানায় অভিযোগ দিলে শালিসি মিমাংশা মাধ্যমে জমি চাষাবাদসহ বুঝিয়া দেওয়ার অঙ্গীকার করেন মনিরসহ তার ভাইরা। কিন্ত পরবর্তীতে জমি বুঝিয়া না দিতে বিভিন্ন তালবাহানা করেন মনির। মনির ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সোহরাফ গাজির পরিবারসহ সবাইকে তার ভারাটিয়া লোকজন দিয়ে রামদা, ছেনা,লাঠি নিয়ে মারধর করেন ও পরবর্তীতে খুন করার হুমকি দেয়। এমনকি সোহরাফ গাজি তার ৩৩ শতাংশ জমি চাষ করলেও সেই জমির ফসল নষ্ট করে ফেলে মনির। এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয় মনির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এদিকে জমি ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য বৃদ্ধা সোহরাফ গাজির ও তার পরিবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের ও থানায় ঘুরছে। তাদেও অভিযোগ এসব জায়গায় গেলেও সঠিক বিচার পাচ্ছেনা। তাই সংবাদসম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে সঠিক বিচার ও শান্তিপূর্ণভাবে জমি চাষাবাদ যাতে করতে পারে তার প্রার্থনা করেন তিনি।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হাওলাদার সোহরাফ গাজি দলিল করছেন এটা সত্যি। কাগজপত্রে সোহরাফ গাজি জমি পাবে মনিরের কাছে। কিন্তু মনির জোরদখল করে জমি ভোগ করতেছে। সোহরাফ গাজির তার জমিতে চাষাবাদ করলেও সেই জমির ফসল নষ্ট করে দেন তারা। এনিয়ে এলাকায় অনেকবার শলিসি মিমাংশা হইছে কিন্তু মনির জমি ছাড়তে রাজি নয়।