২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩১ অপরাহ্ন, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ডেক্স প্রতিবেদক
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ ছয়জন নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে সাড়ে ৮টার সময় ভালুকা সরকারি কলেজের সামনে। ঘটনাস্থলেই চালকসহ প্রাইভেটকারের সবাই মারা যায়। আহত হয় বাসের ১৫ যাত্রী।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা উপজেলা সদরের সরকারি কলেজের সামনে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-খ- ১৫-০১৫৯) ইউটার্ন নেওয়ার সময় হালুয়াঘাট থেকে ছেড়ে আসা ইমাম পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১২-০৭৩৩) প্রাইভেটকারটিকে চাপা দেয়। এ সময় প্রাইভেটকারের সামনের এক তৃতীয়াংশ বাসের নিচে ঢুকে যায়। এতে প্রাইভেটকারটি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে একই পরিবারের চারজন ও চালকসহ ছয়জন নিহত হন।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, গাজীপুরের হোতাপাড়া থেকে মনির হোসেন প্রাইভেটকারে করে ত্রিশালের বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন হাসিনা বেগম, তার বোন নাজমা খাতুন, ছেলে হাসিবুল, শাশুড়ি জান্নাতি বেগম ও প্রতিবেশী বিল্লাল।
পথে ভালুকা উপজেলা সদরে প্রাইভেটকারটি ইউটার্ন নেওয়ার সময় ঢাকাগামী ইমাম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকসহ প্রাইভেটকারের সবাই মারা যায়। আহত হয় বাসের ১৫ যাত্রী।
নিহত প্রাইভেটকারের যাত্রীরা হলেন গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার রদ্দৌপুর গ্রামের আ. করিমের স্ত্রী হাসিনা আক্তার (৩০), হাছিনার শিশু ছেলে হাছিবুল (৪), মৃত আ. মান্নানের স্ত্রী জান্নাতী বেগম (৬০), হযরত আলীর মেয়ে নাজমা বেগম (২৬), ত্রিশাল উপজেলার ধরিরামপুরের আ. সালামের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪৯) ও ড্রাইভার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মনির হোসেন (৩০)।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মী ও পুলিশ প্রাইভেটকারটির বিভিন্ন অংশ কেটে একঘন্টা চেষ্টা করে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন।
উদ্ধার কাজ করার কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এক পাশে প্রায় ২ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী আসিফ আলী শেখ জানান, ইমাম পরিবহনের বাসটি অনেক দ্রুত গতিতে আসতেছিলো, প্রাইভেটকারটি ইউটার্ন নেওয়ার সময় বাসের সামনে দিয়ে ভিতরে ডুকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হয়।
ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাইভেটকারের ছয় যাত্রীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের কাছে লাশ হস্থান্তর করি। আহত পনের জনকে ভালুকা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভালুকা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ তৈমুর আলী জানান, নিহতদের লাশ ভালুকা ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। ঘাতক বাসটি জব্দ করে ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, ইমাম পরিবহনের একটি বাসের সাথে প্রাইভেট কারের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের চারজনসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। বাসের চালক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।