২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১১ অপরাহ্ন, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
সবদিক থেকেই তৈরি ভারত। আলোচনার রাস্তা খোলা রেখে প্রস্তুতি সারছে দেশটি। চীনের সঙ্গে যে কোনও সংঘাতের পথে যেতে তৈরি ভারত। সাম্প্রতিক সময়ে পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত নিজেদের পরমাণু নীতির অভিমুখও বদল করেছে।
পাকিস্তান নয়, এখন নয়াদিল্লির পরমাণুর নীতির মূল লক্ষ্য চীনকে ভয় দেখানো।
রিপোর্ট বলছে, ভারতের পরমাণু অস্ত্রগুলির রাডারে চলে এসেছে চীন। ২০১৭ সালের ডোকলাম পর্বের পর থেকেই এই রাডারের অভিমুখ বদল হয়েছে। ভুটান সীমান্তে সংঘাতের পর থেকেই চরম সতর্কতা জারি করা হয় ভারতের সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর মধ্যে।
পরমাণু বিশেষজ্ঞ হ্যানস এম ক্রিস্টেনসেন ও ম্যাট কোর্ডা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন গত ২০ জুলাই। যেখানে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
তারা ওই প্রতিবেদনে জানান, এতদিন পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের জেরে নয়াদিল্লির পরমাণু নিশানার মূলে ছিল ইসলামাবাদ। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শত্রু বদলেছে। এবার তালিকার নতুন সংযোজন চীন।
ভারতের নতুন অগ্নি মিসাইলের যা রেঞ্জ, তা চীনকে লক্ষ্য রেখেই তৈরি করা বলে মনে হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পরবর্তী দশকে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ফলশ্রুতিই মিসাইলের অভিমুখ নির্ধারণ করবে। এছাড়াও চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ভিত তৈরি করবে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্যতার গভীরতা। ফলে চীন ও পাকিস্তান দুই দেশই ভারতের কাছে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। সবদিক বিবেচনা করেই এগোতে চাইছে ভারত। তাই আলোচনার রাস্তাও খোলা রেখেছে। ফলে দীর্ঘকাল ধরে যে নীতিতে চলছে নয়াদিল্লি, সেই রাস্তাতেই প্রথমে হাঁটতে চাইছে তারা। দীর্ঘকাল ধরে ভারতের নীতি নো ফার্স্ট ইউজ পলিসি। অর্থাৎ প্রথমেই কোনও চরম পদক্ষেপ ভারত নেবে না। তবে কেউ আঘাত করলে, সেই উত্তর দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা রাখবে ভারত।