০৯ মে ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন, ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে প্রথমধাপে আগামী ৮ই মে অনুষ্ঠিত হবে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নিজেকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মনোনীত প্রার্থী দাবি করে নির্বাচনী প্রচারণা করায় আচরণবিধি লক্সঘনের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাধ্যম দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর ওই লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা আইনজীবী রবিউল ইসলাম। তার অভিযোগ আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা কাজী শুভ রহমান চৌধুরী নিজেকে দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের মনোনীত প্রার্থী বলে প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লক্সঘন করেছেন।
অভিযোগকারী চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল ইসলাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য। অপরদিকে কাজী শুভ রহমান চৌধুরীও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।
ভিডিও চিত্র সহ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে শুক্রবার সকালে নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহীনুর আলম।
অভিযোগকারী চেয়ারম্যানপ্রার্থী আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, গত বুধবার সন্ধায় ঘোড়াঘাট উপজেলার পালশা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ফাঁকা জায়গায় নির্বাচনী কর্মী সভা করেছেন চেয়ারম্যানপ্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী। এসময় নির্বাচনী আচরণবিধি লক্সঘন করে নিজেকে এমপির মনোনীত প্রার্থী বলে দাবি করেন। যার ভিডিও ফুটেজ আমার সংগ্রহ আছে।
অভিযোগের সত্যতা ¯^ীকার করে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে এখনও কোন চিঠি পাইনি। আমার পুরো বংশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। কথা প্রসঙ্গে আমি ভুলবশত নিজেকে এমপির মনোনীত প্রার্থী বলে ফেলেছি। এটা নিছক একটা ভ‚লমাত্র। আগামীতে এধরণের ভুল হবে না।
এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ঘটনা যাচাই বাছাই প‚র্বক আচরণবিধি লক্সঘনের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ করা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি পালনের ¶েত্রে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।