১১ মে ২০২৪, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, ২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
মেয়েকে তিন টুকরা করলো বাবা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজকের ক্রাইম নিউজ

মেয়েকে তিন টুকরা করলো বাবা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজকের ক্রাইম নিউজ

অনলাইন ডেস্ক::আর্থ-সামাজিক বৈষম্যমূলক জাত-পাতের বাছবিচার প্রথার বলি হয়েছেন আরেক তরুণী। ভারতের মহারাষ্ট্রের থানে শহরে স্যুটকেসের ভেতরে এক তরুণীর মাথাবিহীন তিন টুকরা করা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

এ ঘটনায় সেই তরুণীর বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি মেয়েটি এক সহকর্মীকে বিয়ে করার কথা জানায় তার বাবাকে। ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীর সহকর্মী ভিন্ন জাতের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ওই তরুণীকে বাবার হাতে খুন হতে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অভিযুক্ত অরবিন্দ তিওয়ারি তার মেয়ে প্রিন্সিকে হত্যার পর তিন টুকরো করে স্যুটকেসে রাখেন। পরে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে একটি অটোরিকশায় করে পালিয়ে যান। পরদিন ভোরে ওই স্যুটকেস উদ্ধার করে পুলিশ।

৩০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) অরবিন্দ তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। রোববার ভোরে কল্যাণ রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে একটি অটোর ভেতর থেকে ওই স্যুটকেসটি উদ্ধার করা হয়। সেখানকার অটোচালকরাই স্যুটকেসের ব্যাপারে পুলিশকে জানিয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, স্যুটকেসের ভেতর এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করি আমরা। সেখানে মাথা ছিল না। কোমরের নিচের অংশ ছিল। মরদেহটি তিন টুকরো করা ছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই এলাকার অটোচালকদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।

সে সময় এক অটোচালক জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে অটোতে এক ব্যক্তি ওই স্যুটকেস নিয়ে উঠেছিলেন। তা থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। তবে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনও উত্তর না দিয়ে অটোতে স্যুটকেস রেখে নেমে যান তিনি। এরপর পুলিশকে খবর দেন আশপাশের অটোচালকরা।

এরপর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। এতে দেখা যায়, ওই একই ধরনের স্যুটকেস নিয়ে ট্রেনে উঠছেন দুজন ব্যক্তি। তবে এর মধ্যে লাল শার্ট পরা এক ব্যক্তি স্টেশনের কাছে একটি শৌচালয়ে ঢুকলেও সেখান থেকে বের হন সাদা শার্ট পরে।

তাতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। সিসিটিভি ফুটেজে আরও দেখা যায়, লাল শার্ট পরা অবস্থায় একটি অটোতে উঠছিলেন ওই ব্যক্তি। ফুটেজে ওই ব্যক্তির চেহারা দেখেই এরপর স্থানীয় এলাকায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। শেষমেশ স্যুটকেস উদ্ধারের প্রায় ৩০ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের কাছে ধরা পড়েন অরবিন্দ।

প্রসঙ্গত, এই চরম আধুনিক একুশ শতকে এসেও ভারতে এই ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটছে হরহামেশাই।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019