২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোঃ তহিরুল ইসলাম/মোঃ আমিনুল ইসলাম::-
মেয়েটি হিন্দু আর ছেলেটি মুসলিম ফেসবুকে দুজনের পরিচয় রাতজেগে চ্যাটিং করা আর সারাদিন একজন আরেক জনের গায়ে পড়ে ঝগড়া করা। মাঝেমধ্যে একটু একটু অভিমানের মধ্যদিয়ে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব! বেশিরভাগ সময় অভিমান গুলো ভেঙ্গে যেত ছোট্ট করে সরি লিখা একটা এসএম এস এর মাধ্যমে অভিমানের পরিমাণটা একটু বেশী হলে অভিমান ভাঙ্গানোর প্রধান হাতিয়ার ছিল পিকচার পাঠানো। কোন এক সন্ধায় আজান হইছে নামাজে যাও। সুপ্তি না আজকে যাবনা আকাশ নামাজ না পরলে তুই আমার সাথে একদম কথা বলবি না। ইদানীং নামাজ পরা হয়না কাধে শয়তান উঠছে। কি তুই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করিস না? আগে জানলে হয়তো তোর সাথে কথাই বলা হতনা। আগে পরতাম ইদানীং হয়না!
আকাশ কিছুটা অবাক হয়ে গেল কি করে হিন্দু একটি মেয়ে নামাজের জন্য এতটা তাগিদ দিতে পারে প্লিজ এখন থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বি আমার কথা দে! ওকে কথা দিলাম এখন থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো। এভাবে না আমার কছম খেয়ে বল এখন থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবি। ওকে বান্ধবী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো। কিন্তু একটা ব্যাপার মাথায় আসছেনা!
কি ব্যাপার? তুই হিন্দু হয়ে নামাজের জন্য এতটা তাগিদ দিচ্ছিস ক্যান? ভাল কাজের জন্য সবাই তাগিদ দিতে পারে! তাছাড়া আমি হিন্দু পরিবারে জন্মেছি এটাকি আমার অপরাধ বল? একদমো না। মেসেজের রিপ্লাই কি দিবে বুঝতে পারছিলনা ছেলেটা। মেয়েটি প্রতিদিন ছেলেটার খোঁজ খবর রাখে। সাথে নামাজ পরেছে কিনা সেই ব্যাপারেও খোঁজখবর রাখতো। কখনোও নামাজ মিস হলে অজানা এক অভিমানে হিন্দু মেয়েটি ছেলেটির সাথে কথা বলতো না। প্রথম রমজানে ওই বান্ধবী হিন্দু মেয়ে সুপ্তি কি ঢংগি ঘুম থেকে উঠছিস কখন? মুসলিম ছেলে আকাশ অনেক আগে তুই? মাত্র উঠলাম সকালে খাইছি কিছু? এক গ্লাস জল পর্যন্ত না তোর সাথে খাবো। গতকাল তোকে বলছি না আজকে আমি রোজা থাকব, আচ্ছা তোর কি ভাব নেওয়া ছাড়বিনা? ওই বান্দর আমিও রোজা রাখছি। একদমো পাগলামো করবিনা কিছু খেয়ে নে। তুই কষ্ট করবি আর আমি খাব একদম না। দেখ ভাল হচ্ছে না কিন্তু। না খাবোনা, তোকে রেখে কোনোদিন খাইছি? আরে পাগলি আমার খেতে লেট হবে। জানি সন্ধায় খাবি। হুম আমিও সন্ধায় খাবো, থাকতে পারবি সারাদিন না খেয়ে? হাজার বার পারবো, তোর বাসায় জানে এইসব তুই পাগল নাকি? জানবে কি করে। তাছাড়া বাসায় জানতে পারলে অনেক সমস্যা হবে। এইভাবে তাদের মধ্যে চলতে থাকে অনেক দিন। একদিন সুপ্তি বলে আমাকে তুই বিয়া করবি?
আকাশ চমকে যায় বলে তুই কি পাগল হইচিস? তুই কি পারবি সবকিছু ফেলে আমাকে নিয়ে থাকতে? সুপ্তি হেসে বললো আরে পাগল তুই আমাকে এত দিন এ চিনছিস, আমি তোকে ভালোবাসি যতটুকু তার থেকে তোর ধর্মকে বেশি ভাল ভালোবাসি। অবশেষে আকাশ বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেল। সুপ্তি এখন শাদিয়া আক্তার
ঘটনাটা সবাইকে অবশ্যই শেয়ার করবেন।