১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০০ অপরাহ্ন, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক::যমজ সন্তানদের মধ্যে কন্যা শিশুকে বিক্রি করে নিজের জন্য মোবাইল, পুত্র শিশুর জন্য সোনার গয়না কিনলেন বাবা! এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের তামিলাড়ুতে।
দেশটির সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, গত ৮ নভেম্বর তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলির এক সরকারি হাসপাতালে ইয়েসুইরুদ্ধরাজের স্ত্রী পুষ্পলতা যমজ সন্তানের জন্ম দেন। কয়েকদিন হাসপাতালে কাটিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে তারা বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ইয়েসুইরুদ্ধরাজের মাথায় ছিল অন্য পরিকল্পনা।
গত সপ্তাহে তারা ফের হাসপাতালে যান রুটিন চেকআপের জন্য। কিন্তু সেখানে চিকিত্সকরা দেখেন, ছেলেকে নিয়ে আসা হয়েছে, মেয়েটি তাদের সঙ্গে নেই। তারা ইয়েসুইরুদ্ধরাজ এবং পুষ্পলতাকে জিজ্ঞেস করেন, শিশুকন্যাটি কোথায়?
পুষ্পলতা জানান, মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছেন ইয়েসুইরুদ্ধরাজ। এরপর সেখানেই ঝগড়া শুরু হয়ে যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে।
ইয়েসুইরুদ্ধরাজের দাবি, শিশুকন্যা বিক্রির বিষয়ে স্ত্রী পুষ্পলতা সব জানেন।
পুষ্পলতা দাবি করেন, তাকে না জানিয়েই মেয়েকে বিক্রি করেছেন ইয়েসুইরুদ্ধরাজ। এমনকি সেই টাকায় মোবাইল, সোনার হার কেনা ছাড়াও বন্ধক রাখা একটি বাইক ও সাইকেল ছাড়ানো হয়েছে। সবই হয়েছে পুষ্পলতাকে না জানিয়ে।
শিশু বিক্রির খবর সামনে আসতেই হাসপাতাল থেকে খবর যায় থানায়। পুলিশ হাসপাতালে এসে জেরা করে ইয়েসুইরুদ্ধরাজকে। তখনই সব তথ্য বেরিয়ে আসে।
ইয়েসুইরুদ্ধরাজ জানান, কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে তিনি এক লাখ টাকা পেয়েছেন। আর ৮০ হাজার টাকা পেয়েছেন তিন দালাল সেলভাম, নেল্লাইয়াপ্পার ও কান্নান। তিরুনেলভেলির এক নিঃসন্তান দম্পতিকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় কন্যা সন্তানটি।
এঘটনায় ইয়েসুইরুদ্ধরাজ এবং তিন দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে যিনি শিশু কন্যাটি কিনেছিলেন তাকেও।
শিশু কন্যাটির যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, তাই তাকে উদ্ধার করে এখন একটি সংস্থার কাছে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।