১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিউজ ডেস্ক::গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) তে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চেষ্টাকারী চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার বিকালে এ-ইউনিটের পরীক্ষার পূর্বে এই সিন্ডিকেটের ২ সদস্যকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। এরপর অভিযান পরিচালনা করে ওই চক্রের বাকী সদস্যদের আটক করা হয়।
পূর্ব তথ্যানুযায়ী এই অভিযান পরিচালনা করেন রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) একটি টিম। পরীক্ষার দুই ঘণ্টা পূর্বে প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার খবরে অভিযান পরিচালনা করে ৫ জন পরীক্ষার্থীসহ প্রশ্নফাঁস চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেন তারা।
এর আগে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে শিমুল (ছদ্মনাম) ছোট ভাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য ফোনালাপে চুক্তিবদ্ধ হয় রনি নামের আটককৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এসময় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এ-ইউনিটের পরীক্ষার দুইঘন্টা পূর্বে প্রশ্নের সমাধান করিয়ে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
এরপর শিমুল বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রনির সাথে শিমুল দেখা করতে গেলে অভিযান চালায় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি টিম এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসময় বিজয় দিবস হলের ৫১২ নম্বর রুম থেকে জমাকৃত পরীক্ষার্থীদের কাগজপত্রের মূল কপি এবং ৫ পরীক্ষার্থীসহ চক্রটির সদস্যদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আটককৃতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষার্থী জড়িত থাকার বিষয়ে জানা গেছে। তারা হলেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রনি খান, ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নয়ন, নেয়ামুল, মনিমুল ও মুরসালিন আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অমিত গাইন এবং দ্বিতীয় বর্ষের মানিক মজুমদার।
পরীক্ষার্থী হিসেবে আটক করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার আবুবক্কর সিদ্দিক ছেলে তাবিবর হাসান (১৯), শেরপুর জেলার নবীনগর গ্রামের আরিফ বিল্লাহর ছেলে মো. সোলাইমান, চটপাঠক গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে মাহফুজ আজাদ কাওছার (১৯), বরিশাল জেলার গৌরনদীর তিথাখার গ্রামের মো. হেমায়েত হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম সৈকত ( ১৭), পশ্চিম কাওড়া গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে সাগর আহম্মেদ (১৭)।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.রাজিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটককৃত চক্রের সকল সদস্যকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।