০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, ১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, সোমবার, ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। আবহাওয়াবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার মধ্যরাতের দিকে বাংলাদেশের খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের ওপর আঘাত হানতে পারে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান বলেন, তীব্র সাইক্লোনে রূপ নিয়েছে বুলবুল। সুন্দরবনের হিরণপয়েন্ট দিয়ে আঘাত হানতে পারে এটি। এর প্রভাবে ৭ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানতে পারে। বুলবুলের ঝুঁকিতে রয়েছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও ভোলা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখানো হচ্ছে। এই হুঁশিয়ারি সংকেত আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিদফতর।
ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান সম্পর্কে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭৬৯ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ অধিকাংশ এলাকায় বিরাজ করছে মেঘলা আবহাওয়া, কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ির বৃষ্টিও হচ্ছে।