২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী আটক বিএনপি’র কর্মী বিষপান ও আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় উদ্ধার মোংলায় নদীভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ ঘাটে চলছে পারাপার বিপদে হাজারো গার্মেন্টস শ্রমিক,ভাঙন রোধে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অগ্রগতি থমকে বানারীপাড়ায় এক বছরের শিশুর গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি: টাকা ও স্বর্নালঙ্কার লুট মোরেলগঞ্জে আধুনিক বাংলা-চায়না হাসপাতাল স্থাপনের দাবি স্থানীয়দের বাকেরগঞ্জে কারখানা নদীর বালুমহল ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন দর্শনায় লোকমোর্চোর আলোচনা সভা ঢাকাস্থ বাবুগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আলমডাঙ্গায় সাটারগান ও চাইনিজ কুড়ালসহ ১ জনকে গ্রেফতার সরাসরি ভোটে চেয়ারম্যান-মেয়র নির্বাচন বাতিলের প্রস্তাব
৫ বছর যাবৎ শিকলে বাঁধা তেঁতুলিয়ার গৃহবধু নাসরিন আক্তা। আজকের ক্রাইম নিউজ ডট কম

৫ বছর যাবৎ শিকলে বাঁধা তেঁতুলিয়ার গৃহবধু নাসরিন আক্তা। আজকের ক্রাইম নিউজ ডট কম

জাবেদুর রহমান জাবেদ, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি:-
পাঁচ বছর ধরে শিকলে বাঁধা তেঁতুলিয়ার গৃহবধু নাসরিন আক্তার (৪৫) বাঁচার আকুতিতে কেঁদেই চলেছে সারক্ষন। টাইফয়েড জ্বরই একটি জীবন দূর্বিসহ করে নিজে হয়েছেন শিকলে বন্দি এবং গোটা পরিবারকে সর্বশান্ত করে পথে বসার উপক্রম করেছে। উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের দগরবাড়ি গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননীকে ৫ বছর যাবৎ শিকলে রেধে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ দিন টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা করানো হয় এতে সুস্থতা না হয়ে উল্টো মানসিক রোগিতে পরিনত হয়। তখন তাকে নিজেদের আয়ত্বে রাখার জন্য নানা ভাবে মানসিক চিকিৎসাও করেন তার পরিবারের লোকজন। দীর্ঘ চিকিৎসা পরও সুস্থ না হওয়ায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় তাকে পরিবারের লোকজন ৫ বছর যাবৎ শিকলে বেঁেধ রেখেছে। তবে তার উন্নত চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে নাসরিন আক্তার আবারও সুস্থ জীবনে ফিরে আসবে বলে মনে করেন এলাকাবাসি।
স্থানীয় ভাবে দীর্ঘ দিন চিকিৎসা করেও যখন জ্বর কোন ভাবেই সারছেনা তখন তাকে ঢাকায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করে টাইফয়েড জ্বর সারলেও তার মানসিক রোগ দেখা দেয়। তখন একই হাসপাতালে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করে সহায় সম্পত্তি যা সামান্য ছিল সবই শেষ হলে বাড়ি ফিরে আসে। স্ত্রীর পাশে থেকে সুস্থ করতে ঢাকায় একটি কোম্পানীর চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে স্বামী মিজানুর এখন দিনমুজুর। অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় কাটছে তিন সন্তানের জননী নাসরিনের শিকলে বাঁধা বন্দি জীবন।
মেয়ে বৃষ্টি আক্তার জানান, মায়ের অসুখের কারণে আমরা ঠিকমতো বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না। আমাদের লেখাপড়ার বেঘাত ঘটছে। মায়ের সুচিকিৎসার জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়ে বলেন আমার মাকে স্বাভাবিক জীবনে আনতে সকলের সহযোগিতা ও দোয় কামনা করছি।
স্বামী মিজানুর রহমান বলছেন, স্ত্রীকে সুস্থ করতে আমার সহায় সম্পদ যা ছিল সবই বিক্রি করে তার চিকিৎসা বাবদ খরচ করেছি। এখন অর্থাভাবে তার কোন চিকিৎসা করতে পারছি না। তবে উন্নত চিকিৎসা ও সেবা পেলে সে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছে। জীবিকার তাগিদে সংসারের খরচ জোগাতে বাইরে কাজে যেতে হয় বলেই স্ত্রীকে শিকলে বেধে রাখতে হচ্ছে। তা না হলে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে যায়। তাকে খুজে বের করতে খুবই কষ্ট হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, সে উন্নত চিকিৎসা ও সহযোগিতা, সেবা পেলে নাসরিন আবারও সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে বলে ধারনা করা যাচ্ছে। আমার পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি তার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করার।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019