০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৬ অপরাহ্ন, ৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দেড় লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে নকল স্বর্ণের গহনায় বিয়ে করতে এসে গণপি’টুনি খেয়ে বাড়ি ফিরলেন বর মো. হৃদয় মিয়া(২০)। শুক্রবার রাতে নয়ামাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিয়ে পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর সালিশ বৈঠকে বর পক্ষকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন গ্রাম্য মাতবররা। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রামবাসী জানান, উপজে’লা ধামগড় ইউপির নয়ামাটি গ্রামের আলম মিয়ার কন্যা ইতি আক্তার(১৮) সঙ্গে মুছাপুর ইউপির তাজপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে হৃদয়ের ঘট’কের মধ্যস্থায় বিয়ে ঠিক হয়। বিয়েতে কন্যাকে ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেয়ার চুক্তিতে বর পক্ষ দেড় লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে গ্রহণ করেন।
বিয়ের দিন ধার্য করা হয় ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার। শুক্রবার বিয়েতে বর পক্ষ লোকজনদের খাওয়া দাওয়া শেষে বিয়ের কাবিন করতে কাজী এসে উপস্থিত হন। এসময়ে বিয়ে পড়ানোর আগ মুহুর্তে স্বর্ণালংকার দেখতে চান কনের আত্নীয়রা। আগের কথা মতে ৪ ভরি স্বর্ণের গহনা বের করে দেন বর পক্ষের লোকজন। তবে গহনা নকল বলে ধারণা করেন কনের আত্মীয়রা।
পরে বর পক্ষের সাথে কনে পক্ষের লোকেরা চ্যালেঞ্জ ছুড়েন এটি নকল স্বর্ণ। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরবর্তীতে স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে স্বর্ণ পরীক্ষা করলে সবগুলো গহনা নকল এবং স্বর্ণের তৈরী না বলে জানিয়ে দেয় স্বর্ণকার।
পরে গ্রামবাসী ও কনের আত্নীয় স্বজন উত্তেজিত হয়ে উঠে বর এবং ঘট’ককে গণপি’টুনি দিয়ে বিয়ে পণ্ড করে দেয়। এ ঘটনা গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পরলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিয়ে বাড়িতে এসে উপস্থিত হন।
স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে বসেন উভয় পক্ষের গ্রাম্য মাতবররা। সালিশ বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ সকল দেনা পাওনা কনে পক্ষের ক্ষতি পূরণ বাবদ বর পক্ষ আগামী ৪০ দিনের মধ্যে দুই লাখ টাকা প্রদান করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে বসেন উভয় পক্ষের গ্রাম্য মাতবররা। সালিশ বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ সকল দেনা পাওনা কনে পক্ষের ক্ষতি পূরণ বাবদ বর পক্ষ আগামী ৪০ দিনের মধ্যে দুই লাখ টাকা প্রদান করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।