০২ মে ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন, ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
তেঁতুলিয়ায় আচরণবিধি মানছে না প্রার্থীরা, পোষ্টারে ছেয়ে গেছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তদারকি নেই সংশ্লিষ্টদের বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী দুলালের মতবিনিময় বিদেশে পালানোর সময় শত কোটি টাকা আত্মসাতের হোতা বিমানবন্দরে গ্রেফতার উসকানিতে নিজের রুটি-রুজির সংস্থান ধ্বংস করবেন না: শেখ হাসিনা চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে মে দিবস পালিত নানা আয়োজনে ঘোড়াঘাটে মে দিবস পালিত বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এগিয়ে বিলকিস ঝালকাঠিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত” আজকের ক্রাইম নিউজে চুয়াডাঙ্গার মনোহরপুর বৈশাখী মেলার নামে জুয়ার আসর সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় রাতে প্রশাসনের হানা বরিশালে প্রধানমন্ত্রী সচিব পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সেই প্রতারক গ্রেপ্তার
সিরাজউদ্দৌলাকে কারাগারে নেয়ার সময় উপস্থিত কয়েকশ জনতা ‘ধর, ধর’ বলে চিৎকার করতে থাকে।

সিরাজউদ্দৌলাকে কারাগারে নেয়ার সময় উপস্থিত কয়েকশ জনতা ‘ধর, ধর’ বলে চিৎকার করতে থাকে।

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ আসামিরই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

নুসরাত হত্যা মামলার রায়ের দিন আদালত চত্বরে জড়ো হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। রায় শুনে তারা বলেছেন, উচিত রায় হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর পুলিশ আদালতের তিনতলার এজলাস থেকে প্রধান আসামি সিরাজউদ্দৌলাকে কারাগারে নেয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে ওঠায়। গাড়িতে ওঠানোর আগে উপস্থিত কয়েকশ জনতা ‘ধর, ধর’ বলে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় অনেকে সিরাজের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর চেয়ে স্লোগান দেন।

এছাড়া প্রিজনভ্যানে তোলার পর অন্যান্য আসামি সিরাজকে হঠাৎ করেই পেটাতে থাকেন। সে সময় তাকে বুকে-মুখে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করেন।

অধ্যক্ষ সিরাজকে মারতে মারতে এ সময় আসামিদের কেউ কেউ বলতে থাকেন, ‘তোর কারণে আমাদের ফাঁসি হয়েছে।’

নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ফাঁসির আদেশ পাওয়া ১৬ জন হলেন-সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।

সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে যৌন হয়রানি করেন।

এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে রাফির পরিবারকে হুমকি দেয়া হয়।

৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে ওই মাদ্রাসার কেন্দ্রে যায় রাফি। এ সময় বোরকা পরিহিত কয়েকজন তাকে পাশের বহুতল ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। রাজি না হলে রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় তারা।

এতে রাফির পুরো শরীর দগ্ধ হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।

রাফি হত্যা মামলায় পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ২১ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে। পরে ২৯ মে ১৬ জনকে আসামি করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই।

চার্জশিটভুক্ত ১৬ আসামির মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

৩০ মে মামলাটি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ১০ জুন আদালত মামলাটি আমলে নিলে শুনানি শুরু হয়। ২০ জুন অভিযুক্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালত।

২৭ ও ৩০ জুন মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমানকে জেরার মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর ৯২ সাক্ষীর মধ্যে ৮৭ জন সাক্ষ্য দেন আদালতে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019