২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক সন্ত্রাস মুক্ত দেশ করি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০১৯ ।

পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক সন্ত্রাস মুক্ত দেশ করি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০১৯ ।

পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক সন্ত্রাস মুক্ত দেশ করি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০১৯ উদযাপনের আনন্দঘন মুহূর্তে বরিশাল রেঞ্জের সকল পুলিশ সদস্য এবং সকল স্তরের নাগরিকদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন। আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।

প্রিয় স্বদেশের জন্য পুলিশ ও জনগণ এক কাতারে দাঁড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি গণমানুষের কল্যাণের স্বার্থে ঢেলে সাজানো হয়েছে বর্তমান পুলিশি ব্যবস্থাকে। এর ফলে পুলিশি কার্যক্রমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। গতানুগতিক পুলিশিংয়ের সীমাবদ্ধ না থেকে জনসম্পৃক্ততা কে কাজে লাগিয়ে একটি সুস্থ সুন্দর ও অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে পুলিশ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সেই ধারণা “পুলিশ ও জনতা” উভয়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বরিশাল রেঞ্জের জেলাসমূহে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে কমিউনিটি পুলিশিং আরো গতিশীল ও বেগবান করা হয়েছে।

বরিশাল রেঞ্জের পুলিশি কার্যক্রমে সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করা হয়েছে। ফলে বরিশাল রেঞ্জের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। মাদক নির্মূল ও জঙ্গিবাদ দমনের পথকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে গণমুখী পুলিশিং, স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং, ওপেন হাউজ ডে, উঠান বৈঠক, বিট পুলিশিং, অভিযোগ/তথ্য বক্স স্থাপন এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে কমিউনিটি পুলিশিং দর্শনকে আরো বেগবান করা হয়েছে। বরিশাল রেঞ্জে কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে রেঞ্জের জেলাসমূহে এ পর্যন্ত ৩৪৩টি তথ্য/অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হয়েছে এবং সাধারণ জনগণকে কমিউনিটি পুলিশিং উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১০৩৭ জন মাদক ব্যবসায়ী/মাদকসেবী কে মাদকের দুষ্টচক্র থেকে মুক্ত করে নতুন জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে অসচ্ছল ৩৭৮ জন কে পূর্ণবাসন করা হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে এ পর্যন্ত বরিশাল রেঞ্জের ২৬৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে লিগাল এইড এর মাধ্যমে আইনগত সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং এর আওতায় গণমুখী পুলিশিং এর মাধ্যমে বরিশাল রেঞ্জের ৪৬টি থানা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৩৩ জন মাদক সেবীকে নিরাময় কেন্দ্রে প্রেরণ করে এদের মধ্যে ২৮৬ জনকে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে নিজ বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করানো হয়েছে।আত্মসমর্পণকৃত মাদক ব্যবসায়ী/সেবীদের পূর্নবাসনে বরিশাল রেঞ্জের প্রতিটি জেলায় সমবায় সমিতি গঠন করা হয়েছে।

কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণ ও পুলিশের মধ্যকার দূরত্বহ্রাস করে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় এর মাধ্যমে সমাজের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন, জননিরাপত্তা, দেশের শান্তি, প্রগতি ও উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে। কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণের সাথে পুলিশের মেলাবন্ধন রচিত হয়েছে তা সমাজে অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। দেশের আপামর জনগণকে নৈতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ থেকে অপরাধ দূরে সরে যাবে, এরই লক্ষ্যেই কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে আরো বেশি বেগবান ও গতিময় করতে হবে।

দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার সাথে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অঙ্গাঙ্গীকভাবে সম্পর্কিত। সুখী, সমৃদ্ধ এবং সকল নাগরিকের জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য “সোনার বাংলাদেশ” গড়তে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য কাঙ্খিত পুলিশি সেবা প্রদানে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম এর যাত্রা শুরু হয়।

কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০১৯ এর নানা আয়োজনে পুলিশ ও জনগণের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া ও অভিজ্ঞতা বিনিময় ঘটবে, যা আগামী দিনগুলোতে আরো বেশি গণমূখী করে তুলবে।

কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০১৯ এর সকল আয়োজন সুন্দর ও সফল হোক

– মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019