১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন, ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, শুক্রবার, ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দালাল চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে বরগুনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। চক্রটিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন পাসপোর্ট অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী। এতে করে গ্রামগঞ্জ থেকে আসা মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরগুনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সিসিটিভি (ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা) ক্যামেরা বসানো থাকলেও সেগুলো রয়েছে অচল। যেকারণে স্বাচ্ছন্দ্যে দালালরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দালাল চক্র আর অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। অতিরিক্ত টাকা না দিলে ফাইল ঘুরতে থাকে দিনের পর দিন। তাছাড়া নিজে আবেদন ফরম পূরণ করলে পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নানা অজুহাতে আবেদনপত্র ফেরত দেন। তবে, দালালদের মাধ্যমে আবেদন করলে সহজেই মেলে পাসপোর্ট।
পাসপোর্ট করতে আসা হৃদয়, হাসান ও রাফিন বলেন, পাসপোর্ট অফিসে ঢুকতেই ৪/৫ জন দালাল আমাদের ঘিরে ধরেছিল। দালালের শরণাপন্ন না হয়ে আমরা নিজেরাই আবেদন লিখেছি। এবার জমা দেওয়ার পালা।
জানা যায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকের মাধ্যমে সাধারণ পাসপোর্টের জন্য তিন হাজার ৫৫০ টাকা এবং জরুরি পাসপোর্টের জন্য সাত হাজার টাকা জমা দিতে হয়। আবেদন করার পর ২১ দিন আর জরুরি ক্ষেত্রে ১১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট সরবরাহ করার নিয়ম রয়েছে। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্ধারিত সময়ে মেলে না পাসপোর্ট।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বরগুনা জেলা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, অফিসের অনিয়ম দুর্নীতি আর দালাল চক্রের প্রতিরোধে সবসময় তারা সচেষ্ট রয়েছেন।
‘পাসপোর্ট বই দেরিতে কেনো দেওয়া হয়’ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা থেকেই বইয়ের সাপ্লাই নেই এজন্য গ্রাহকদের কাছে বই পৌঁছে দিতে দেরি হয়।
তিনি আরও বলেন, অফিসের সবকটি সিসিটিভি ক্যামেরা অচল রয়েছে। সেগুলোকে সচল করার জন্য ডিসি অফিসের খোকনকে ডাকা হয়েছে। কিন্তু তিনি আজ না কাল বলে ঘোরাচ্ছেন।