১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বানারীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ফুলেল শুভেচ্ছায সিক্ত মেনন বানারীপাড়ায় তহশিলদার ও সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ যুবকের আত্নহত্যা, বাড়িতে খালু শ্বশুরের ঘুষি, সালিশে মেম্বারের দেওয়া থাপ্পড় না কি স্ত্রীর ওপর অভিমান বাবুগঞ্জে আওয়ামী লীগের সভাপতির সাথে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গায় ৫’শ পেঁপে গাছ কেটে দেয়ার প্রতিবাদে কৃষকজোটের মানববন্ধন ও সমাবেশ বাবুগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন গাবখান সেতুর টৌলপ্লাজায় ভয়াভয় দূর্ঘটনায় দায়ী ঘাতক ট্রাকচালক ও সহযোগী আটক মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা গলায় তিল থাকা নারীদের যেসব গুণ থাকে বরিশালে হাসপাতালের প্রিজন সেলে খুনের ঘটনায় ৩ কারা পুলিশ বরখাস্ত
গোপনে শারীরিক সর্ম্পকে ক্ষান্ত হননি ভাই-বোন, এবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন তারা

গোপনে শারীরিক সর্ম্পকে ক্ষান্ত হননি ভাই-বোন, এবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন তারা

অনলাইন ডেস্কঃঃ পরকীয়ায় জড়ানোর পরও ক্ষান্ত হননি একই বাবার ঔরসজাত দুই ভাই-বোন। এবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। শনিবার জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, উপজেলার তারাকুল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদের প্রথম স্ত্রীর ছেলে শিজু (৩৫) এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে রাজিয়া খাতুন (২৬) নিকা রেজিস্ট্রিমূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে তাদের বিচারের দাবি করেছেন এলাকাবাসী। যাতে করে আর কেউ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটাতে পারে এজন্য তাদের শাস্তির দাবি করছেন সচেতন মহল। আর এ বিয়ে বৈধ নয় বলে জানিয়েছেন আলেম-ওলামারা।

পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, আব্দুর রশিদ প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক হরিপুর গ্রামে বসবাস করেছিলেন। তখন তাদের সংসারে ছেলে শিজু জন্ম নেয়। তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের পর, আব্দুর রশিদ জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার তারাকুল গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের মেয়ে মাহমুদা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

এরপর তাদের সংসারে জন্ম নেয় মেয়ে রাজিয়া খাতুন। ছেলে শিজু ও মেয়ে রাজিয়াকে আব্দুর রশিদ উপযুক্ত বয়সে বিয়েও দেন। তাদের ঘরে ছেলে-মেয়েও রয়েছে। এরই মধ্যে শিজু ও রাজিয়া তাদের বাবার বাড়িতে আসা-যাওয়ার মাঝে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

রাজিয়ার মামা আব্দুল হান্নান বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এর আগে অনৈতিক মেলামেশার কারণে গ্রামবাসী তাদের আটক করে মারপিট দিয়ে ক্ষেতলাল থানায় সোপর্দ করেছিল। সে সময় তারা দুজনেই এমন কাজে আর জড়াবেন না বলে মুচলেকা দেন। তারপরও এমন জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে ওরা।

তাদের বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, নিজের জন্ম দেয়া সন্তানরা এমন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে তা কোন বাবা-মা সহ্য করতে পারবে না। এমন ঘটনা জানার পর থেকেই আমি আর বাইরে বের হতে পারছি না। এমন ঘটনা শোনার আগে আমার মৃত্যু কেন হলো না।

শনিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের কাজী মাসুম বিল্ল্যার অফিসে এই বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। তবে এ ঘটনায় তিনিও বিব্রত। বললেন, ‘এ বিয়ের রেজিস্ট্রি নিয়ে বেশ ঝামেলায় আছি। বিভিন্ন মহল থেকে ফোন আসছেই।’

রাজিয়ার স্বামী পৌর শহরের বিশ্বাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও জয়পুরহাট পৌরসভার অফিস সহায়ক মজনু হোসেন জানান, ২০০৬ সালে রাজিয়ার সঙ্গে আমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আমাদের নয় (৯) বছরের রিয়াদ হাসান ও সাত (৭) বছরের রাকিবুল হাসান নামে দুইটি ছেলে সন্তান আছে।তারা মাদরাসায় লেখাপড়া করে। ছয় মাস আগে আমি জানতে পারি আমার শ্বশুরের আগের স্ত্রীর মেজ ছেলে শিজুর সঙ্গে রাজিয়ার প্রেমের সম্পর্ক। এরই এক পর্যায়ে সে আমার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি চলে গেলে আমার আত্মীয়-স্বজনদের মাঝেও বিষয়টি জানাজানি হয়।

এ নিয়ে ক্ষেতলাল থানায় আমার অনুপস্থিতিতে তারা এ প্রেমের সম্পর্ক রাখবে না বলে মুচলেকা দেয়। পরে সে সংসার করবে না বলে জানালে পারিবারিকভাবে চার মাস আগে আমাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। কিছুদিন পর রাজিয়া তার ভুল স্বীকার করে আবার নতুন করে সংসার করতে চাইলে ছেলেদের কথা চিন্তা করে আবার তাকে বিবাহ করি। বিবাহ করার কিছুদিন পর তো তার ভাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেছে।

আমি তার খোঁজ করতে করতে বগুড়ার শিবগঞ্জ ভাইয়েরপুকুর এলাকায় গিয়ে সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পারি শিজু তার বাবা আব্দুর রশিদের নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে হাশেম আলী করে নিকাহ্ বিবাহ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ বলেন, ‘এ বিয়ে বৈধ নয়। যেকোনো বিবাহ রেজিস্ট্রি হলে সরকার ফি পাবে, কিন্তু একই বাবার দুই স্ত্রীর ছেলে-মেয়ের মধ্যে বিবাহ হলে সেটা বৈধ হবে না।’

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত হোসেন বলেন, এমন ঘটনা কখনও শুনিনি। তবে এ বিয়ে সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়ার কথা নয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019