০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, ১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, সোমবার, ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আরটিভি অনলাইন ডেস্ক
চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ( অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম
চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ( অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম
চট্টগ্রাম-ghবাবা-মেয়ের হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পাশের বাসার মাইন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মায়ের অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলে শিশু কন্যা ফাতেমা খাতুন (৪)। বাবা বাসায় এলে এ সম্পর্কের কথা বলে দেবে বললে ওই শিশুকে হত্যা করে মা হাছিনা বেগম। পরে মাইন উদ্দিন ও হাছিনা বেগম মিলে স্বামী আবু তাহেরকেও হত্যা করে বলে জানিয়ে, রোববার দুপুরে নগরীর দামপাড়াস্থ নগর পুলিশের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ( অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম।
fb-Cover-Photo
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জানান, বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কাজ করতেন হাছিনা (৩০) এবং স্বামী আবু তাহের (৩৮) ছিলেন গুদাম শ্রমিক। স্বামীর কর্মস্থল গুদাম শ্রমিকদের নেতা মাইন উদ্দিনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে আবু তাহেরের স্ত্রী হাছিনার। আর এই ঘটনা জেনে যাওয়ায় হাছিনার সহায়তায় খুন হয়েছেন আবু তাহের এবং তার চার বছর বয়সী শিশু কন্যা বিবি ফাতেমা। পরে পুলিশ হাছিনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাইন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে হাছিনা বেগমকেও।
তিনি আরও জানান, পরকীয়া প্রেমের জেরে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে অত্যন্ত নৃশংসভাবে মা হাছিনা বেগম নিজ হাতেই হত্যা করেছে তার চার বছর বয়সী শিশু কন্যা বিবি ফাতেমাকে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাদে হাছিনা বেগম জানিয়েছেন, শনিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে নয়টার মধ্যে তার প্রেমিক মাইন উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী আবু তাহের এবং কন্যা বিবি ফাতেমাকে হত্যা করেছেন তিনি।
প্রথমে চার বছর বয়সী শিশুকন্যাকে হাত-পা ধরে রাখে প্রেমিক মাইন উদ্দিন। তারপর কন্যার গলায় এবং পেটে ছুরি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি। এরপর স্বামী আবু তাহের বাসায় প্রবেশ করলে প্রথমে দুজন মিলে তাকে ঝাপটে ধরে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন। এরপর একপর্যায়ে গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন দুজন। ঘটনার পর মাইন উদ্দিন পালিয়ে নোয়াখালী চলে যায়। পরে পুলিশ হাছিনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নোয়াখালীর সুবর্নচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাইন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে নগরীর বন্দর থানা পুলিশ নিমতল এলাকার বুচুইক্যা কলোনির তিনতলার একটি ভবনের নিচ তলার বাসা থেকে বাবা ও মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেন।
জেবি