১৮ মে ২০২৪, ০৬:০২ অপরাহ্ন, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল নগরী বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনমূলক অভিযান বাবুগঞ্জে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা মামলায় কারাগারে মাদরাসা সুপার চাঁদপাশায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা বিনতে ওহাব এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত রিকশাচালককে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া সেই পুলিশ সদস্য ক্লোজড বরিশালে স্বামীর জমানো টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী তেঁতুলিয়া হাসপাতালে অকেজো মালামাল টেন্ডারে ঘাবলা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি দর্শনায় আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় ও সংবর্ধনা বানারীপাড়ায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাক মাস্টারের দাফন
শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের অন্যতম আঙ্গিনা কীর্তনখোলা তীরে ক্যাম্পাস

শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের অন্যতম আঙ্গিনা কীর্তনখোলা তীরে ক্যাম্পাস

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ববি অন্যতম একটি সেরা বিদ্যাপীঠ। লাখো শিক্ষার্থীর স্বপ্নের আঙ্গিনা কীর্তনখোলার তীর ঘেঁষা এই ববি ক্যাম্পাস। দুই সেতুর মাঝে অবস্থিত এই ক্যাম্পাস নিমিষেই মন কেরে নেবে যে কারোর। তবে দীর্ঘ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এই সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এক দুরুহু ভর্তিযুদ্ধে। প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে,কজনইবা পারেতার স্বপ্নকে স্বার্থক করতে। আসন সংখ্যার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি হওয়ায় নির্ধারিত আসনের বাহিরে স্বপ্নের বিচ্ছুরণ ঘটছে অনেকের। একটু ভুলের কারণে ঝরে পড়ে হাজারো স্বপ্ন। সকল শিক্ষার্থী চায় দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অধ্যয়ন করতে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী প্রকৃত মেধা থাকা স্বত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। তার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত জ্ঞানের অভাব,প্রশ্নের ধরণ সম্পর্কে অজ্ঞতা,টেকনিক অনুসরণ না করা তাদের মধ্যে অন্যতম। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ববির প্রশ্ন একটু ভিন্ন ধরনের । ববি তুলনামূলক নব্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া স্বত্বেও শিক্ষার গুণগতমান ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের কারণে ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। তাই এখানে প্রতিযোগিতা একটু বেশিই হয়। যারা ভর্তি পরীক্ষা একটু কৌশলী হয় তারা অতি সহজেই চান্স পেয়ে যায়। নিন্মের নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করলে সহজেই
ববিতে চান্স পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের এ ক্যাম্পাসে এবার ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ ও ১৯ অক্টোবর। ১৪৪০ আসনের বিপরীতে এবার লড়বে ৪৯ হাজার ৯৫৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থী। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আসন বরাদ্দ করে নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা ছুটে আসবে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য। তবে কেমন হবে সেই হাজার হাজার শিক্ষার্থীর অদম্য মেধার প্রতিযোগিতা? কোন পন্থা অবলম্বন করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন নিজের নামে করে নিতে পারবেন? বিগত পরীক্ষাগুলোর আলোকে কতটুকু প্রস্তুতি নিতে হবে প্রতিযোগীদের? কী কী নিয়ম অনুসরণ করে অতি সহজেই ববির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে শিক্ষার্থীরা?

এ সকল বিষয় নতুন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিটভিত্তিক পরামর্শ দিয়েছেন বিগত ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ ইউনিটে চান্সপ্রাপ্ত প্রথম সারির শিক্ষার্থীরা। গত ২০১৮-১৯ সেশনে ‘এ’ ইউনিটে চান্স পেয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত চপল হোসেন ‘এ’ ইউনিটে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি প্রথমত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, সেই হিসেবে ওটাই ছিল ববির প্রস্তুতি। কিন্তু যখন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি তখন পরিশ্রম একটু বেশিই করতে হয়েছে। আল্লাহর রহমতে মেধাতালিকায় স্থান দখল করেছিলাম। যারা ‘এ’ ইউনিটে পরীক্ষা দিতে আগ্রহী তাদের জন্য বলব ইন্টারের মেইন বইগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ার বিকল্প নেই। আমি কোনো ধরনের সাজেশন ফলো করিনি। শুধু ইন্টারের মেইন বই ফলো করেছি। পাশাপাশি বাজারে ভালো কিছু বই থেকে বেসিক বিষয়গুলো পড়লে ভালো ফল করা যাবে। সর্বোপরি পরীক্ষার হলে ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দিতে হবে। এসব বিষয়গুলো ফলো করতে পারলে অবশ্যই চান্স পাওয়া সম্ভব। এ দিকে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২০ তম স্থান অর্জনকারী বর্তমান লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইদুল ইসলাম তুষার বলেন, ‘বি’ ইউনিটে

ভর্তি পরীক্ষা দিতে গেলে বাংলা, ইংরেজি ও গ্রুপের বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। তিনি মেইন বইগুলোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে বলেন। পাশাপাশি বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করার মাধ্যমে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব বলেও জানান। এমনি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে ভর্তি পরীক্ষার বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা জানিয়েছেন ‘সি’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ২য় হওয়া বর্তমান ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইজা ইসলাম। তিনি বলেন, ভর্তিযুদ্ধ অনেকটা জীবন মরণের লড়াইয়ের মতো। প্রিপারেশন আগে থেকেই ছিল। কিন্তু ঢাবি, জাবি, জবি থেকে শুরু করে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েও যখন চান্স হচ্ছিল না তখন মন খারাপ করে আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। তবে কনফিডেন্স হারাইনি। । ইংরেজি এবং বাংলা বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছিলাম। কারণ এই দুই বিষয়ের নাম্বার পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজি আলাদা পাস নম্বর থাকায় বেশি পড়তে হয়েছিল। নিয়মিত ঘণ্টামাফিক পড়তাম না। যখন পড়তে ইচ্ছে হতো তখন পড়তাম। বাড়তি চাপ নেওয়া পছন্দ করতাম না। তবে টাইম মেইনটেইন করতাম। নতুন কিছু না পড়ে প্রশ্ন সলভ বেশি করসিলাম। পরীক্ষার হলে মোটামুটি সিউর ছিলাম এমন প্রশ্নেরই উত্তর করেছি। কারণ নেগেটিভ মার্কিংয়ের কারণে আমি অন্যান্য ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাইনি। ববিতেও শঙ্কামুক্ত ছিলাম না। চান্স পাওয়ার তাড়নায় ছিলাম। কিন্তু সব শেষে অবিশ্বাস্য রেজাল্ট ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়। উল্লেখ্য,ববিতে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য রয়েছে ৫৮০ টি আসন, মানবিকের জন্য ৫৬০ টি আসন, এবং ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ৩০০ টি আসন। দক্ষিণ বঙ্গের সেরা এই বিদ্যাপীঠে চান্স পেতে বর্তমানে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে আগামীর ববিয়ান করে তুলতে । তাই সময় কে কাজ লাগিয়ে আগামীর ববিয়ান হওয়ার পূর্ন প্রচেষ্ঠা অব্যহত রাখুন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019