২০ মে ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বিএনপি নেতার গেটে সাইনবোর্ড ‘ভোট চাহিয়া লজ্জা দেবেন না প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, পুলিশ সদস্য আটক ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে: প্রধানমন্ত্রী ইরানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, প্রেসিডেন্ট রাইসির লাশ উদ্ধার বানারীপাড়ায় শিক্ষাই শক্তি সংগঠনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা সুন্দরগঞ্জে ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ভাটা বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন এলে ধর্মের দোহাই দিয়ে ধুমকেতুর মতো যাদের আগমন ঘটে তাদের সর্বত্র বর্জন করুন অভিনেত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান সুন্দরগঞ্জে বাধার মুখে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ
এতিম পথশিশু খুশিকে জাঁকজমকভাবে বিয়ে দিলেন রংপুরের ডিসি

এতিম পথশিশু খুশিকে জাঁকজমকভাবে বিয়ে দিলেন রংপুরের ডিসি

এক পথশিশু এতিম মেয়ের জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিয়ে হলো রংপুরে।এসেছিলেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

বুধবার গায়ে হলুদের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর পর্যটন মোটেলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিয়ে হয় খুশি খাতুনের। এর সহযোগিতা করে সমাজসেবা অধিদফতর ও শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (বালিকা)।

মোছা. খুশি খাতুন ছোট বেলা থেকেই মানুষের বাসা বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে ছিলেন। সেখানে তিনি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়। গৃহকর্তার নির্যাতনে তিনি ওই বাসা থেকে পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে থানায় সোপর্দ করেন। ২০১৪ সালে ২৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড রংপুর সমাজসেবা অধিদফতরের সহযোগিতায় তাকে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (বালিকা) রাখা হয়।

সেখানে ১৮ বছর পূর্ণ হলে জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদফতরের সহযোগিতায় তাকে কারুপণ্য নামে শতরঞ্জি তৈরি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়া হয়। পরে রংপুর নগরীর নিউ সাহেবগঞ্জ এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. লিমন মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ের বিষয়টি ঠিক করে জেলা প্রশাসন। ছেলেটির পেশা রাজমিস্ত্রি।

সবার পছন্দে বিয়েতে রাজি হওয়া নবদম্পত্তি অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, তারা একে অপরকে পেয়ে খুশি। এজন্য তারা ডিসি, সমাজসেবা সেবা কর্তৃপক্ষসহ রংপুরের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা আরো বলেন, তাদের ভবিষ্যৎ বংশধর যাতে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে এজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

ডিসি আসিব আহসান জানান, মেয়েটি এতিম। তার বাবা-মা নেই। প্রশাসন পাশে আছে এমন ধারণা যেন এতিম মেয়েটির হয় এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে সে অসহায় বোধ করতে না পারে। তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে এজন্য তাদের নামে পারিবারিক পেনশনের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া প্রশাসন থেকে সব ধরনের সহযোগিতাও অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবেন।

তিনি আরো বলেন, পর্যটন মোটলে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিয়ে দেয়ার আর একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আরো যে ২ শতাধিক অনাথ শিশু আছে তাদের নিয়ে আনন্দ করা এবং তাদেরও বোঝানো যে তারা একা নয় আমরা সবাই তাদের পাশে আছি ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019