১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন, ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, শুক্রবার, ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেক্স চরফ্যাশনে জিন্নাগড় ৯নং ওয়ার্ডের শ্বশুড়বাড়ি থেকে চাচার বাড়িতে বেড়ানোর নাম করে পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেল গৃহবধু। যাওয়ার সময় নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্নালংকারসহ পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দিকবিদিক খোজাখোজির এক পর্যায়ে গৃহবধুর স্বামী ইসমাইল বাদি হয়ে চরফ্যাশন থানায় অভিযোগ দাখিল করে। গত ৬ অক্টোবর দুপুর ২ টায় গৃহবধুর চাচার বাড়ি দুলারহাট থানাধীন আহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মাস পূর্বে আহাম্মদপুর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আসাদ আলীর কন্যার সাথে জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মজিদের পুত্র ইসমাইলের সঙ্গে ইসলামিক শরিয়া মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর থেকে গৃহবধু বেপরোয়া চলা ফেরা করে। এতে স্বামী তার বেপরোয়া স্ত্রীকে নিয়ন্ত্রন করতে চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে নানা রকম ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ৬ আগষ্ট ইসমাইলের ঘরে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার ও স্বর্নালংকারসহ তার বাবা ও চাচার বাড়িতে আহাম্মদপুর গ্রামে বেড়াতে যায়। বিষয়টি মোবাইলে তার চাচা শ্বশুরকে জানালে সে সত্যতা স্বীকার করেন। পিছন দিয়ে ইসমাইল চাচা শ্বশুরের বাড়িতে গেলে তাকে ঘরে রেখেই তাৎক্ষনিক পালিয়ে যায়। দিকবিদিক খোজাখোজির এক পর্যায়ে তাকে না পেয়ে চরফ্যাশন থানায় বিষয়টি অবহিত করেন।
সরজমিনে খোজ নিতে গৃহবধুর চাচার বাড়িতে গেলে চাচি নাছিমা (৫০) জানান, ঘটনার সবই সত্য। তবে জামাই ইসমাইলকে আমি দুপুর বেলা ভাত খেতে দেই। এই সুযোগে মেয়েটি পার্শ্ববর্তি একজনের হাত ধরে পালিয়ে যায়। গৃহবধুর চাচাতো ভাই ইব্রাহিমের স্ত্রী ঝর্না (৩০) জানান, আমাদের ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়ায় আমরা এখন অনেক চিন্তিত এখন সে কোথায় কিভাবে আছে আমাদের জানা নাই। এঘটনায় গৃহবধুর ভঙ্গিপতি ইমাম হোসাইন জানান, আমরা পারিবারিক ভাবে তাকে খোজাখুজি করছি। তবে শুনেছি সে পার্শ্ববর্তি পান্নু নামের একজনের সাথে পালিয়ে গেছে। পান্নু আমার শ্বাশুড়িকে ধর্মের মা ডেকেছে। এ ঘটনায় চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ সামছুল আরিফিন জানান, কেউ মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।