১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আমরণ অনশন চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :: আমাদের পেটে লাথি দিবেন না, বিকল্প কর্মসংস্থান দিন। বরিশাল নগরে বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া নির্বিচারে ব্যাটারীচালিত রিক্সা বন্ধ হতে পারেনা বলে মন্তব্য করেছেন সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী ।
প্রয়োজনীয় নীতিমালার ভিত্তিতে নগরীতে ব্যাটারীচালিত রিক্সা চলার দাবী এবং অবিলম্ভে প্রশাসন কর্তৃক জব্দকৃত ২ কোটি টাকা অর্থমূল্যের ব্যাটারী ও মটর ফিরিয়ে দেয়ার দাবী জানিয়ে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে ব্যাটারীচালিত রিক্সা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম কমিটি,বরিশাল মহানগর রিক্সা-ভ্যান চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট।
আজ বুধবার (২ই অক্টোবর) সকাল ১১ টায় বরিশাল শহরের বিভিন্ন সড়কে লাল পতাকা সহ বিভিন্ন প্লেকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন সহ প্রতিবাদ সভা করছেন।
বরিশাল জেলা সমাজতান্ত্রিকদল (বাসদ) জেলা সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমীক ফ্রন্ট সহ-সভাপতি আঃ রাজ্জাক, গণফোরাম জেলা সভাপতি এ্যাড, হিরন কুমার দাস মিঠু, কমিউনিস্ট পার্টি জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান
সেলিম,এ্যাড, আবু রায়হান,দুলাল মজুমদার, গণ সংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা আহবায়ক দেওয়ান আঃ রসিদ নিলু, নৌযান শ্রমীক ফেডারেশন জেলা সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার,শহিদুল ইসলাম,মহসিন মীর,জাহাঙ্গির হোসেন দিদার, বরিশাল জেলা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা নবীন আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা মোজাম্মেল হক সাগর সহ বিভিন্ন শ্রমীক সংগঠন থেকে বক্তব্য রাখেন।আমরণ অনশন কর্মসূচিতে একাত্বতা প্রকাশ করে অংশ গ্রহন করেন সিপিবি,গণ সংহতি আন্দোলন,নৌযান ফেডারেশন,ছাত্র ইউনিয়ন,হোটেল শ্রমীক ইউনিয়ন।
এসময় বক্তার বলেন, আমরা ইতি পূর্বে বহুবার নগর পিতার সাথে দেখা করতে গিলেও তিনি কোন শ্রমীক সংগঠনের সাথে দেখা করেন না।
যে জন প্রতিনিধি হয়েও জন সাধারনের সমস্যার কথা শুনতে চান না। তাহলে উনি কি মেয়র হয়েছেন কতিপয় বিত্তবানদের জন্য।
তারা আরও বলেন নগর পিতার কাজ হচ্ছে জনগনের সাথে কথা বলে সাধারন মানুষের সমস্য সমাধান করা সে তা নাকরে রাজতন্ত্র পরিবারের সদস্যদের মত নিজেকে ঘড়ের ভিতর থেকে আড়াল করে রেখে বিসিসি মন্ত্রালয় পরিচালনা করছেন।
অন্যদিকে নির্বাচনী ওয়াদা ভুলে গিয়ে মেয়র এখন পুলিশ সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে সাধারন রিক্সা ও অটো শ্রমীক চালকদের পেটে লাথি মেরে নিজ আত্বীয়-স্বজনদের কোটিপতি বানাবার জন্য লিপ্ত হয়ে উঠেছে।