২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার, ভাই-বোন আটক বরিশালে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের দুই মাস পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা বরিশালে মাননীয় নির্বাচন কমিশনার মহোদয়ের সাথে বিএমপি কমিশনার এর সৌজন্য সাক্ষাৎ গভীর রাতে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ২ যুবক নিহত পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে দু’ দেশের পতাকা বৈঠক শেষে ভারতীয় নাগরিককে ফেরত কাঠালিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ১ ডাকাত গ্রেফতার দামুড়হুদায় নাশকতার মামলায় জামায়াতের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সাবেক চেয়ারম্যান,সাবেক ভাইস ঝালকাঠি পৌরসভার দুই খেয়াঘাট ইজারায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাবুগঞ্জে পাট ক্ষেত দিয়ে হাটার প্রতিবাদ করায় কৃষককে কুপিয়ে জখম
হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে জানতে পারলেন স্ত্রী মারা গেছে

হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে জানতে পারলেন স্ত্রী মারা গেছে

অনলাইন ডেস্ক :: নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারে ভুল চিকিৎসা ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মিলি বেগম (২৯) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এসময় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে স্বজনরা শান্ত হন। সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিলি বেগম ফতুল্লা থানাধীন শিবু মার্কেট পশ্চিম লামাপাড়া এলাকার মো. শাহ আলমের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী শাহ আলম বলেন, মিলির কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড মাথাব্যথার জন্য মেডিসিন ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহের আলীকে দেখাই। তার পরামর্শ অনুযায়ী রাত পৌনে ১১টায় কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করি। ব্যথা না কমায় সোমবার ৩টার দিকে আবারও ডাক্তার ডাকতে গেলে হাসপাতালের লোকজন আবারও ওষুধ আনতে পাঠায়। ওষুধ নিয়ে আসার আগেই আমার স্ত্রীকে হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে ফেলে। বলে দ্রুত হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন আপনার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। বিল পরিশোধ করার পর হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন আমার স্ত্রী মারা গেছে।

তিনি বলেন, ওই ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও টাকার জন্য হাসপাতালের লোকজন আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। হাসপাতাল থেকে সকালে ঢাকায় নিলে আমার স্ত্রী মরতো না। ওরা টাকার জন্য আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।

হাসপাতালের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবু বক্কর বলেন, ডা. জাহের আলীর নির্দেশে রোগীকে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি এখানে আসেননি। পরে তার পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে ব্রেইন স্ট্রোক করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে মিলি কেয়ার হাসপাতালে কোন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তা জানাতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক স্টাফ জানান, ডা. ফয়সাল নামে এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন মিলি। তবে ডা. ফয়সালকে হাসপাতালের কোথাও পাওয়া যায়নি। এমনকি হাসপাতালের কেউ তার ফোন নম্বরটিও দিতে রাজি হননি।

চাষাঢ়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019