২০ মে ২০২৪, ১১:১২ অপরাহ্ন, ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বিএনপি নেতার গেটে সাইনবোর্ড ‘ভোট চাহিয়া লজ্জা দেবেন না প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, পুলিশ সদস্য আটক ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে: প্রধানমন্ত্রী ইরানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, প্রেসিডেন্ট রাইসির লাশ উদ্ধার বানারীপাড়ায় শিক্ষাই শক্তি সংগঠনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা সুন্দরগঞ্জে ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ভাটা বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন এলে ধর্মের দোহাই দিয়ে ধুমকেতুর মতো যাদের আগমন ঘটে তাদের সর্বত্র বর্জন করুন অভিনেত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান সুন্দরগঞ্জে বাধার মুখে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ
বাবুগঞ্জে গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে চাষিরা

বাবুগঞ্জে গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে চাষিরা

মোহাম্মদ আলী, বাবুগঞ্জঃ বাড়ছে জনসংখ্যা, কমছে ফসলি জমি। তাই মানুষের চাহিদা পূরণ করতে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির কারণে স্বল্প জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন সরকার।

বরিশালের বাবুগঞ্জ একটি কৃষি প্রধান উপজেলা। উপজেলায় বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি অনেক জমিতে গমের উৎপাদন হতো। তবে দিন দিন গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। ফলে কমছে গমের উৎপাদন।

জানা গেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলায় গমের আবাদ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় গমের দাম অনেক কম থাকা, ব্লাস্টসহ বিভিন্ন প্রকার রোগে আক্রমণ হওয়া এবং প্রকৃত কৃষকরা সরকারি সহায়তা না পাওয়া সহ নানান কারণে গমের আবাদ দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল কিন্তু চাষাবাদ হয়েছিল ৭০ হেক্টর জমিতে, ২০২১ সালে লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছিল ৭০ হেক্টর জমিতে কিন্তু আবাদ হয়েছিল ৫৮ হেক্টর জমিতে।

আর চলতি মৌসুমে গমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬৫ হেক্টর জমিতে তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে কৃষি বিভাগ। এবছর গমের আবাদ হয়েছে ৬০ হেক্টর জমিতে। পর পর ৩ বছর গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।

বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের বাদল ফকির, জামাল মোল্লা সহ বেশ কয়েকজন জানান, যারা প্রকৃত কৃষক তাঁরা অনেকেই সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন না। যারা পাচ্ছেন তারাও হয়তো গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কারণ এক মণ গম উৎপাদন করতে ৬শ থেকে ৭শ টাকা খরচ হয়ে যায়। মৌসুমে বাজারে প্রতি মণ গম বিক্রি হয় মাত্র ৫শ থেকে ৬শ টাকা। সরকারি ভাবেও যথা সময়ে গম কেনা হয় না। এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিন দিন গমের আবাদ থেকে সরে আসছে।

উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের কৃষক জালাল আহমেদ জানান, বাজারে গমের থেকে ধানের চাহিদা বেশি, গমের থেকে ধানের দামও বেশি। সেজন্য তার মতো অনেক কৃষক দিন দিন গমের আবাদ ছেড়ে দিয়ে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছে।

বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, গমের বীজ বপনের যখন সঠিক সময় তখন প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার কারণে সময় মতো চাষিরা তাদের জমিতে এ বছর গমের বীজ বপন করতে পারেনি।
এছাড়াও কৃষকরা বোরো ধানের প্রতি আগ্রহ বাড়ায় গমের আবাদ কম হয়েছে। কয়েকবছর আগে বাবুগঞ্জে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০০ হেক্টর জমিতে কিন্তু বর্তমানে ৩হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

তবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের গম আবাদে উৎসাহিত করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019