০৪ মে ২০২৪, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু ভাট্টির দল থেকে পদত্যাগ চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাড়ি শেষ তিন বছর পর জামিনে কারামুক্ত মামুনুল হক দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে, অতঃপর… সাংবাদিককে হুমকি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: মিলার দামুড়হুদায় কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত, খাবার পেল এতিমখানা গৌরনদীর ধানডোবা গ্রামে স্ত্রীর অধিকার পেতে তিন মাসের আন্তঃসত্ত্বা নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন
পরকীয়া প্রেমিক মিলে স্বামীকে হত্যা, কল রেকর্ডে ফেঁসে গেলেন স্ত্রী।

পরকীয়া প্রেমিক মিলে স্বামীকে হত্যা, কল রেকর্ডে ফেঁসে গেলেন স্ত্রী।

আজকের ক্রাইম ডেক্স
লালমনিরহাটে পরকীয়ার কারণেই আব্দুল জলিলকে (৩৫) হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন স্ত্রী মমিনা বেগম ও গোলাম রব্বানী নামের এক পল্লী চিকিৎসক। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে হত্যায় ব্যবহৃত আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ।

বুধবার (২৮) বিকেলে সদর উপজেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামাল বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত মমিনা বেগম ও গোলাম রব্বানীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, জলিলের কুলখানি অনুষ্ঠান শেষে তার বড়ভাই আব্দুর রশিদ মমিনা বেগমকে গ্রামের বাড়িতে যেতে বলেন। মমিনা ওই বাড়িতে আর কোনোদিন যাবে না এবং এখানে বিয়ে করবে জানালে তার সন্দেহ হয়। পরে ২৫ জুলাই (রোববার) জলিলকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

বিষয়টি তদন্তে নামে পুলিশ। সহকারী পুলিশ সুপার মারুফা জামালের নেতৃত্ব পুলিশের একটি টিম তাদের চার মাসের কল লিস্ট যাচাই করে মঙ্গলবার সকালে মমিনা বেগম চারজনকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে মমিনা ও গোলাম রাব্বানী হত্যার দায় স্বীকার করলে বাকি দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এর আগে ২২ জুলাই (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী ও আব্দুল জলিল একই সঙ্গে ছিলেন। ওইদিন গভীর রাতে গোলাম রব্বানী কৌশলে জলিলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এদিকে অপেক্ষারত স্ত্রী মমিনা বেগম স্বামী ঘুমিয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত হলে ভোরের দিকে মমিনা বেগম চিৎকার শুরু করেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে জলিলের নাকে ও মুখে রক্ত বের হতে দেখেন। পরে পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী মৃত্যু নিশ্চিত করে তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করেন।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার (ওসি) শাহা আলম বলেন, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জলিলকে হত্যা করা হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত হতে পেরেছে। নিহতের স্ত্রী মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানী সরাসরি হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019