০৮ মে ২০২৪, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বুধবার, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
দর্শনায় উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশের নিরাপত্তা ব্রিফিং মাহমুদ হাসান রনি, ঘোড়াঘাটে কোটি টাকা নিয়ে কর্মকর্তা উধাও খাদ্য গুদাম সিলগালা রহমতপুরে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের স্কুল প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত ঘোড়াঘাটে সরঞ্জামসহ ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার বরিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে  মনোনীত অফিসার-ফোর্সদের ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন: ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন শাহজালাল (র.) ওরস উপলক্ষে ঐতিহাসিক লাকড়ি তোড়া উৎসব অনুষ্ঠিত কালকিনিতে বজ্রপাতে প্রতিবন্ধীর নিহতের পরিবার পেল আর্থিক সহায়তা বানারীপাড়ায় অধ্যাপক নিত্যানন্দ শীলের পরলোকগমণ বিয়ের দাবিতে অনশন নাটক, ৫ লাখ টাকায় রফাদফা
রাজধানীতে ২০ কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্প-কোর্ট ফিসহ গ্রেফতার ৪।

রাজধানীতে ২০ কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্প-কোর্ট ফিসহ গ্রেফতার ৪।

অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকায় জাল স্ট্যাম্প তৈরির ছাপাখানার সন্ধান পেয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সেখানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ পরিচালিত এক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

গ্রেফতাররা হলেন- আবু ইউসুফ ওরফে পারভেজ ওরফে রানা, আতিয়ার রহমান সবুজ, নাসির উদ্দিন ও নুরুল ইসলাম ওরফে সোহেল।

হাফিজ আক্তার জানান, গ্রেফতাকারকালে ছাপাখানা থেকে ২০ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার টাকার মূল্যের ১৩ লাখ ৪০ হাজার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের ১৯ হাজার ৪৮০টি জাল কোর্ট ফি এবং জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প বিক্রির নগদ ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের ১ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার ১৮টি চেকের পাতা, ১১৪ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার, ডাক বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিল ও বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়। ওই ছাপাখানা থেকে বিপুল পরিমাণ কাগজ জব্দ করা হয়, যা দিয়ে অন্তত আরো শত কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্প বানানো সম্ভব ছিল।

তিনি বলেন, গ্রেফতার চক্রের মূলহোতা আবু ইউসুফ। চক্রটি ২০১৭ সাল থেকে কম্পিউটার ও প্রিন্টার ব্যবহার করে জাল স্ট্যাম্প তৈরি করে বিক্রি করতো। তবে ২০১৯ সাল থেকে গোপন ছাপাখানা বসিয়ে বৃহৎ পরিসরে জাল স্ট্যাম্প তৈরি শুরু করে। তিন ধাপে এসব জাল স্ট্যাম্প ক্রেতা পর্যায়ে পৌঁছে দিতেন তারা। তাদের কারখানা থেকে বরিশাল, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার নামে খাম উদ্ধার করা হয়েছে। তারা এসব জাল স্ট্যাম্প দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হতো।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন শিল্প-কারখানা, হাসপাতাল, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এমনকি আদালতেও এসব জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প সরবরাহ করা হতো। তবে প্রতিষ্ঠানের মূল কর্তাব্যক্তিরা হয়তো বিষয়টা জানেও না, যারা এগুলো কেনার দায়িত্বে থাকে পিয়ন বা ক্লার্ক তারাই কমদামে এগুলো কিনে থাকে। এটাও এক ধরনের অপরাধ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হঠাৎ বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে তারা এই ছাপাখানা স্থাপন করে জাল স্ট্যাম্পের ব্যবসা শুরু করে। তাদের প্রেস মেশিটনটি অনেক দামি, জার্মানির। কাগজ দিয়ে হুবহু নকল করে এসব বানানো হতো।

কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ জাল স্ট্যাম্প, জাল স্ট্যাম্প তৈরির কাগজ ও বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। এ থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, চক্রে শুধু চারজনই নয় আরো কেউ জড়িত আছে। এটা অনেক বড় একটি চক্র। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে জানান তিনি।

হাফিজ আক্তার বলেন, এসব জাল স্ট্যাম্পে কেউ হয়তো দলিল করছেন, কিন্তু স্ট্যাম্পটাই নকল। এসব ব্যবহারে দুর্নীতি বেড়ে যাচ্ছে, সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এজন্য সবাইকে রেজিস্টার্ড জায়গা থেকে স্ট্যাম্প কেনার পরামর্শ দেন তিনি। আসল স্ট্যাম্প ইউভি মেশিনে দিলে জলছাপ জ্বলজ্বল করে এবং কালো রেখাগুলো দৃশ্যমান। কিন্তু নকল স্ট্যাম্পে এগুলো দৃশ্যমান না।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019