০৫ মে ২০২৪, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক এমএ গফুর ইন্তেকাল
পরকীয়া প্রেমিককে পেতে তিন সন্তানের মুখে বিষ তুলে দেন মা! আজকের ক্রাইম-নিউজ

পরকীয়া প্রেমিককে পেতে তিন সন্তানের মুখে বিষ তুলে দেন মা! আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক
পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে নতুন করে ঘর বাঁধতে চেয়েছিলেন ফাহিমা খাতুন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় তিন শিশু সন্তান। তাই বিষ খাইয়ে সন্তানদের হত্যা করে সেই পথ পরিস্কার করতে চেয়েছিলেন ফাহিমা। জুসের সঙ্গে তিন সন্তানকে বিষপান করানোর পর একটি শিশু মারা গেছে। বাকি দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের উচাইল-চারিনাও গ্রামে।

মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন ফাহিমা খাতুন। আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একইদিন রাতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের উচাইল-চারিনাও গ্রামের ইজিবাইক চালক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ফাহিমা খাতুনের সঙ্গে পাশের বাড়ির আক্তার মিয়ার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এক পর্যায়ে তারা ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ফাহিমার ৩ সন্তান।

১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের দোকান থেকে ফাহিমা ২টি লিচুর জুস কিনে এনে প্রেমিক আক্তার মিয়ার হাতে দেন। আক্তার মিয়া জুসে বিষ মেশান। পরে আক্তার মিয়া ও ফাহিমা খাতুন ৩ সন্তানকে উঠান থেকে ডেকে এনে জুস খাওয়ান। জুস খাওয়ার পরই বিষক্রিয়ায় ফাহিমার ৩ শিশু সন্তান ছটফট করতে থাকে।

পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় ৩ শিশুকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৭ বছরের মেয়ে সাথী আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপর দুই সন্তান তোফাজ্জল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়।

এরপরই ফাহিমা ও আক্তারের পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় ফাহিমার স্বামী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে স্ত্রী ফাহিমাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019