২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
পুলিশ মামলা না নেয়ার কারণেই থানা থেকে বেরিয়ে শরীরে আগুন দিয়ে লিজার আ’ত্মহ’ত্যা

পুলিশ মামলা না নেয়ার কারণেই থানা থেকে বেরিয়ে শরীরে আগুন দিয়ে লিজার আ’ত্মহ’ত্যা

পুলিশ মামলা না নেয়ার কারণেই থানা থেকে বেরিয়ে শরীরে আগুন দিয়ে লিজার আ’ত্মহ’ত্যা

স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মা’মলা করতে গিয়েছিলেন কলেজছাত্রী লিজা রহমান (২০)। কিন্তু পুলিশ মা’মলা না নেয়ার কারণেই থানা থেকে বেরিয়ে তিনি গায়ে আগুন দিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করেছেন। মৃ’ত্যুর আগে নিজের জবানবন্দিতে লিজা এ কথায় জানিয়ে গিয়েছেন।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফয়জুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার বাইরে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন লিজা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন

ইউনিটে চিকিৎসাধীন লিজা মা’রা যান। তার মৃ’ত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত করছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। চার সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গত ২ অক্টোবর রাজশাহীতে এসে প্রথম দফায় তদন্ত করে।

পরে বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা আবার রাজশাহী এসে শাহমখদুম থানার দুজন পুলিশ সদস্য, পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের চারজন, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী

চারজন, লিজার কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি জানান, ‘লিজা রহমান ডাইং ডিক্লিয়ারেন্সে বলেছে, তার মামলা না নেয়ার ব্যাপারে পুলিশ নারাজি ছিল। সে জন্যই সে এই পথ বেছে নিয়েছে। এ রকম ডাইং ডিক্লিয়ারেন্সে বলা আছে।’

পুলিশের তদন্ত অবশ্য সে কথা বলছে না। লিজার গায়ে আগুন দেয়ার পর রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার সালমা বেগমকে প্রধান করে তিন

সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাদের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই।

আর মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক আল-মাহমুদ ফয়জুল কবির বলছেন, গড়মিল রয়েছে পুলিশের দেয়া তথ্যে।

তিনি বলেন, শাহমখদুম থানার পুলিশের এবং ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশের সরবরাহকৃত তথ্য-উপাত্ত যেমন- ভিডিও ফুটেজ, এজাহার, জিডির কপি এবং তাদের সাক্ষীর মধ্যে গড়মিল পরিলক্ষিত হয়েছে।

কোন বিষয়ে গড়মিল দেখা যাচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লিজার দায়ের করা যে জিডিটা দেখানো হচ্ছে, সেখানে লিজার স্বামী এবং শ্বশুরের নাম-ঠিকানা লেখা আছে।

কিন্তু থানা এবং ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বলেছেন, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে লিজা সর্বশেষ বের হয়ে যায় স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ির নাম-ঠিকানা সংগ্রহের কথা বলে। অথচ জিডিতেই সেটা উল্লেখ আছে।

তবে এ সময় আর বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির এই প্রধান।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019