০৬ মে ২০২৪, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান কাবিননামায় দেনমোহর নিয়ে প্রতারণা, স্ত্রী গ্রেফতার গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
তৃতীয় শ্রেণি পাস শ্বশুর দেখেন রোগী, ওষুধ লেখেন জামাই। আজকের ক্রাইম-নিউজ

তৃতীয় শ্রেণি পাস শ্বশুর দেখেন রোগী, ওষুধ লেখেন জামাই। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক

প্রাথমিকের গণ্ডি না পেরনো শ্বশুর দেখে রোগী আর এসএসসি পাস জামাই দেন ওষুধ। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া ডেন্টাল প্রতিষ্ঠান খুলে রাজধানীতে রোগীর জীবন নিয়ে খেলছিলেন নূর হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম। র‌্যাবের অভিযানে জারিজুরি ফাঁস হলেও সাজা হয়েছে মাত্র ২ বছর।

দাঁতের চিকিৎসার মতো জটিল কাজটি যিনি করছেন তার শিক্ষার দৌড় তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত। ওষুধের নামও লিখতে পারেন না তিনি। অন্য চিকিৎসকের নামে তৈরি প্রেসক্রিপশনে সই করে দেন। এক্সরের দরকার না হলেও পাঠানো হয় নিজেদের প্রতিষ্ঠানে।
এভাবে গত মার্চ মাস থেকে ডেন্টাল ক্লিনিক খুলে প্রতারণা করছিলেন শ্বশুর নূর হোসেন ও তার মেয়ের স্বামী জাহিদুল ইসলাম। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে জালিয়াতিতে জড়িত নুর হোসেন। এর আগে একটি ক্লিনিকে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। আর তার জামাই ছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক্ষক।

প্রাথমিকের গণ্ডি না পেরনো নূর হোসেন বলেন, ‘আমি একটা হাসপাতালে সহকারী হিসেবে কাজ করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এটা খুলেছি। পড়াশোনা ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত।’
ভুক্তভোগী জানান, দাঁতে ব্যথা নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানে আসলে নুর হোসেন তার চিকিৎসা করেন। চিকিৎসার পর আরো বাড়ে জটিলতা।
র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি প্রতারণা করে আসছে। তারা বিভিন্ন চিকিৎসকের নামের প্যাডে নিজেরা স্বাক্ষর দিয়ে রোগীদের ভুল চিকিৎসা দিচ্ছিল। এমনকি তাদের প্যাডে লেখা পঞ্চগড় ডেন্টাল ক্লিনিক। আর বাইরে সাইনবোর্ডে লিখা ‘হোসাঈনী ডেন্টাল’।
ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘ওনাদের কোনো সার্টিফিকেট নেই। সামান্য একটা ওষুধের নামও তারা পড়তে পারেন না। প্রতারণার প্রত্যেকটি ধাপ এখানে স্পষ্ট।’
নূর হোসেনকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও জাহিদুল ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সূত্র সময় টিভি

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019