০৩ মে ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
দামুড়হুদায় কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত, খাবার পেল এতিমখানা গৌরনদীর ধানডোবা গ্রামে স্ত্রীর অধিকার পেতে তিন মাসের আন্তঃসত্ত্বা নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন ঢাকা রিজিয়ন টুরিস্ট পুলিশ ও নেক্সট টুর অপারেটর এর মধ্যে আলোচনা ও মতবিনিময় স্মার্ট বাবুগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপনের গনসংযোগ আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন কালকিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন ঝালকাঠিতে আর ডি এফ’র কিশোরী কর্মী সহ দুই কিশোরীর বাল্য বিয়ে পন্ড ও আর্থিক জরিমানা দামুড়হুদায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে চেয়ারম্যান পদে ২জন সহ প্রার্থী হয়েছে ১৩ জন বাকেরগঞ্জের দাড়িয়ালে সড়ক নির্মানে দূর্নীতি ও অনিয়ম
নারী চেয়ারম্যানের শ্লীলতাহানি, প্রতিমন্ত্রীর এপিএসের নামে মামলা। আজকের ক্রাইম-নিউজ

নারী চেয়ারম্যানের শ্লীলতাহানি, প্রতিমন্ত্রীর এপিএসের নামে মামলা। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক :: যশোরের মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানমের শ্লীলতাহানি, কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি, গালিগালাজ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে প্রতিমন্ত্রীর ভাগনে এবং এপিএসসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

সোমবার (২৭ জুলাই) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মণিরামপুর আমলী আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম ভুক্তভোগীর অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ২০ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল লতিফ।

মামলার আসামিরা হলেন- মণিরামপুরের ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টু, ভোজগাতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, মণিরামপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, মণিরামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ও মণিরামপুরের মৃত ইব্রাহিম খানের ছেলে কবীর খান। উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু যশোর-৫ আসনের এমপি ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের ভাগনে। কবির খান প্রতিমন্ত্রীর এপিএস।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২২ জুলাই মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও বাদী উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রথমে বাদী পৌর এলাকায় চারটি প্রতিষ্ঠানে চুরি সংঘটিত হওয়ার বিষয়ে আলোচনা করলে প্রশাসন এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় প্রতিমন্ত্রীসহ সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। হঠাৎ সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানমের ছেলে ফেসবুকে জনপ্রতিনিধিদের কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে বলে অভিযোগ এনে বিচার দাবি করেন ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টু।

এটি এজেন্ডা-বহির্ভূত বিষয় হলেও বাদী যুক্তিসঙ্গত জবাব দেন। এরপর পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে সভায় হট্টগোল শুরু করে জামার হাতা গুটিয়ে বাদীকে গালিগালাজ ও মারপিট করতে যান মামলার আসামিরা। আসামিদের অপতৎপরতা বুঝতে পেরে বাদী দ্রুত মিলনায়তন ত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে পাশে থাকা জিপ গাড়িতে ওঠার সময় আসামিরা পেছনে পেছনে গিয়ে অশ্লীল ভাষায় বাদীকে গালিগালাজ করতে থাকেন। কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি, এমনকি বাদীর পরনের কাপড় ধরে টানাটানি করে শ্লীলতাহানি ঘটায় আসামিরা।

আসামিদের এমন কর্মকাণ্ডে উপস্থিত লোকজনের সামনে বাদী অপমাণিত ও ভীষণভাবে লজ্জা পেয়েছেন। টানাহেঁচড়ার একপর্যায়ে বাদীর ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে মূল্যবান কাগজপত্র ও একটি মোবাইল ফোন পড়ে যায়। তিন নম্বর আসামি মোবাইল ফোন ও মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে যান। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকায় দুর্নীতিবাজ আসামিরা বাদীকে হেনস্তা করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019