০৬ মে ২০২৪, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান কাবিননামায় দেনমোহর নিয়ে প্রতারণা, স্ত্রী গ্রেফতার গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
বানারীপাড়ায় চাল আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা সেই তিন ইউপি মেম্বর’র নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ইউএনও’র কাছে লিখিত ব্যাখা। আজকের ক্রাইম-নিউজ

বানারীপাড়ায় চাল আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা সেই তিন ইউপি মেম্বর’র নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ইউএনও’র কাছে লিখিত ব্যাখা। আজকের ক্রাইম-নিউজ

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় ইলুহার ইউনিয়নের খাদ্য
বান্ধব কর্মসূচির আওতাধীন মানবিক সহায়তার ১০ টাকা কেজি দরের কার্ডের চাল
আত্মসাত অভিযোগ ওঠা সেই তিন মেম্বর নিজেদের নির্দোষ দাবি করে লিখিত
ব্যাখা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবুল
কালাম,আ.ছালাম ও সিরাজুল ইসলাম মন্টু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ
আব্দুল্লাহ সাদীদের কাছে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে
উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে লিখিত আকারে এ ব্যাখা দেন। ওই ব্যাখায় তারা
দাবি করেন ২০১৬ সালে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে স্বচ্ছতার
ভিত্তিতে ১০ টাকা কেজির চালের কার্ডের তালিকা করা হয়। পরবর্তীতে তাদের
ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দের কার্ড উপজেলা পরিষদ থেকে সরাসরি ডিলারদের কাছে
যায়। ডিলাররা ওই কার্ডগুলো পরে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেয়।ওই কার্ডের
বিপরীতে চাল উত্তোলণ বিষয়ে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। ডিলারের কাছ থেকে
সুবিধাভোগীরা চাল ক্রয় করে থাকেন। সেক্ষেত্রে ইউপি সদস্যের কোন
সম্পৃক্ততা থাকেনা। যদিও কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তার জন্য সংশ্লিষ্ট ডিলাররা
দায়ি। সম্প্রতি প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরু হলে উপজেলা পরিষদের
নির্দেশনায় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম পরিষদে কার্ড জমা দিতে বললে ১
নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালামের কাছে ডিলার ইয়াছিন ১৩৩ কার্ডের
স্থলে প্রথমে ১২২টি কার্ড দিলে এনিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়।পরে বাধ্য হয়ে
ডিলার তার কাছে রাখা বাকী ১১টি কার্ড জমা দেন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি
সদস্য আ.ছালামের কাছে ডিলার ফায়জুল মোল্লা ১১৩টি কার্ডের স্থলে ৯৯টি
কার্ড জমা দেন। ১৪ টি কার্ড জমা দেওয়া হয়নি। একই ডিলার ১০০টি কার্ডের
স্থলে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম মন্টুর কাছে ৯০টি কার্ড
জমা দেন। বাকী ১০ টি কার্ড জমা দেওয়া হয়নি। ১ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি,৭
নম্বর ওয়ার্ডে ৬টি ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি মোট ১৪ টি কার্ডের চাল সাক্ষর
জাল করে যে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে
এর সঙ্গে ডিলাররা জড়িত বলে তারা দাবি করেছেন। এছাড়া এটা আগামী ইউপি
নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলেও ওই লিখিত
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান ওই তিন ইউপি সদস্য তাদের বিরুদ্ধে
১৪ হতদরিদ্র কার্ডধারীর চাল আত্মসাতের অভিযোগের ব্যপারে নিজেদের নির্দোষ
দাবি করে লিখিত ব্যাখা দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ও তাদের
দেওয়া ব্যাখার বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।###

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019