০৬ মে ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান কাবিননামায় দেনমোহর নিয়ে প্রতারণা, স্ত্রী গ্রেফতার গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
২৫০০ টাকা এসেছে কিনা তা যাচাই করতে গিয়ে বিধবা নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা। আজকের ক্রাইম-নিউজ

২৫০০ টাকা এসেছে কিনা তা যাচাই করতে গিয়ে বিধবা নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক:: সময় তখন সকাল ১০টা, মঙ্গলবার (২৬ মে)। নাটোরের বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ হযরত আলী (৪৫) বাড়িতে একা। এ সময় তিনি মোবাইল ফোন করে ডেকে নেন একই এলাকার বিধবা নারী (৩৫)-কে।
করোনা দুর্যোগের সহায়তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ২ হাজার ৫০০ টাকা মোবাইল ফোনে এসেছে কিনা তা যাচাই করতে গ্রাম পুলিশ বিধবাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন। কিছুক্ষণ মোবাইল টিপে টাকা আসেনি বলে জানান তিনি। ‌ এক পর্যায়ে বারান্দা থেকে ওই বিধবা নারীকে টেনে-হেঁচড়ে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই লম্পট গ্রাম পুলিশ।
এসময় বিধবার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং গ্রাম পুলিশকে আটকে রাখে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু গ্রাম পুলিশ আইনের লোক তাকে ছেড়ে না দিলে যারা আটকে রেখেছেন তারা বিপদে পড়বে এই ভয় দেখিয়ে গ্রাম পুলিশকে ছাড়িয়ে নেন। পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গ্রাম পুলিশের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ‌ ওই গ্রাম পুলিশ হযরত আলী নগর ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মৃত কুদ্দুস আলীর ছেলে।
বিধবা ওই নারী জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ২ হাজার ৫০০ টাকা মোবাইল ফোনে এসেছে কিনা তা জানতে বাড়ির অনিত দূরে গ্রাম পুলিশ হযরত আলীকে ফোন দেন তিনি।‌ এ সময় হযরত আলী মোবাইল ফোন নিয়ে তার বাড়িতে যেতে বলে। তিনি ওই বাড়িতে গেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় গ্রাম পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, এই ঘটনার পর গ্রাম পুলিশ হযরত আলীকে স্থানীয়রা আটকে রাখে। ‌ কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু ফোন দিয়ে জানান গ্রাম পুলিশ একজন আইনের লোক তাকে দ্রুত ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় যারা আটকে রেখেছে তারা বিপদে পড়বে। ইউপি চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে স্থানীয়রা হযরত আলীকে ছেড়ে দেয় এবং অতঃপর তাকে এলাকায় আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এই ব্যাপারে চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু বলেন, নির্যাতিতা বিধবা নারী তার কাছে এসেছিলো। তাকে থানায় গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানা পুলিশ যেভাবে আইনগত ব্যাবস্থা নিবে তিনি তাতে সম্মত রয়েছেন।
বড়াইগ্রামের এএসপি (সার্কেল) হারুন-অর-রশিদ জানান, ওই বিধবা নারী থানায় অভিযোগ করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019