০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, ১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি, মঙ্গলবার, ২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
পর্যটক টানতে আকর্ষণীয় করা হচ্ছে বরিশাল ডিসি লেকপাড় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত বাগেরহাটে বিএনপি নেতা ও সাংবাদিক এস এম হায়াত উদ্দিন হত্যাকাণ্ড, মামলা দায়ের টরকী-বাশাইলের মৃতপ্রায় খালে বিপন্ন জনপদ *বাড়ছে অনাবাদি জমির সংখ্যা *খননে নেই কোন উদ্যোগ ঝালকাঠিতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ৬ জেলে আটক ৯ লাখ টাকার জাল জব্দ ঘোড়াঘাটে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত কাঠের সাঁকোই ১০ গ্রামের মানুষের ভরসা বাবুগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার সংবাদ সম্মেলন: মিথ্যা ভিডিও ও অপপ্রচারের প্রতিবাদ বানারীপাড়ায় কৃষকদল নেতা হত্যা মামলায় জামায়াত নেতাদের আসামী করায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মৎস্য অভিযানে ড্রোনের ব্যবহার, চৌকস ভূমিকা পালন করছেন মোহাম্মদ আলম।
কাঠের সাঁকোই ১০ গ্রামের মানুষের ভরসা

কাঠের সাঁকোই ১০ গ্রামের মানুষের ভরসা

রাহাদ সুমন,,বিশেষ প্রতিনিধি

জরাজীর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা মডেল ইউনিয়নের ১০ গ্রামের বাসিন্দারা। ভূক্তভোগীরা দীর্ঘদিন থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ সাঁকোরস্থানে একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানিয়ে আসলেও কোন সুফল মেলেনি।

সরেজমিনে জানা গেছে, গৈলা ইউনিয়নের রাহুতপাড়া ও কাঠিরা দুই গ্রাম সংলগ্ন খালের ওপর স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত কাঠের সাঁকো দিয়ে দীর্ঘবছর পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন।

এ সাঁকো পারাপার হয়েই কাঠিরা গ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. প্রশান্ত রায়ের কাছে প্রায়ই রোগীসহ মিশন স্কুলের শিক্ষার্থী, শ্রীশ্রী হরি ঠাকুরের মন্দিরের ভক্ত এবং দশ গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এ সাঁকোর আশেপাশের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কোন ব্রিজ নেই। যেকারণে ঝুকি নিয়েই কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত গ্রামবাসীকে চলাচল করতে হচ্ছে।

সূত্রে আরও জানা গেছে, গ্রামের যুব সমাজের উদ্যোগে প্রতিবছর কাঠের সাঁকোটি সংস্কার করা হয়। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ এ কাঠের সাঁকোরস্থানে সরকারিভাবে একটি ব্রিজ নির্মানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়েও কোন সুফল মেলেনি।

স্থানীয় বাসিন্দা ডা. প্রশান্ত রায় বলেন-সাঁকোটি প্রথম নির্মাণ করা হয় ২০০২ সালে। সেই থেকে অদ্যবর্ধি সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে গ্রামবাসীরা একটি ব্রিজ নির্মানের দাবি করে আসছেন। তিনি আরও বলেন-আমাদের এ অঞ্চল দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত।

একই গ্রামের বাসিন্দা লিমন সরদার বলেন, একটি ব্রিজের অভাবে আমাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষিপণ্যের বাজারজাত ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটনার পাশাপাশি গ্রামে কোন গাড়ি প্রবেশ করতে না পারায় আমাদের গ্রামের কোন ছেলে-মেয়েকে উচ্চ বংশে বিয়ে শাদি দেওয়া যাচ্ছেনা।

ভূক্তভোগী এলাকাবাসী জনগুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকায় একটি ব্রিজ কিংবা সেতু নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। স্থানীয় জনপ্রনিধিরাও আমাকে অবহিত করেননি। খুব শীঘ্রই সরেজমিন পরিদর্শন করে যতোদ্রুত সম্ভব ওই এলাকায় সরকারি অর্থায়নে ব্রিজ নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019