০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, ১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি, মঙ্গলবার, ২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি :বাগেরহাটে বিএনপি নেতা ও সাংবাদিক এ এস এম হায়াত উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর অবশেষে তাঁর মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মো. ইসরাইল মোল্লাকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হাড়িখালি এলাকায় ভয়াবহ এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সিদ্দিকের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন হায়াত উদ্দিন। হঠাৎ তিনটি মোটরসাইকেলে ছয়-সাতজন সন্ত্রাসী এসে তাঁকে ঘিরে ধরে। তাদের একজন বলে ওঠে, “তুই কোন হাত দিয়ে লিখিস, দেখি তো।” কথাটি বলার সঙ্গে সঙ্গে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে হায়াত উদ্দিনকে।
রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
হায়াত উদ্দিন ছিলেন বাগেরহাট শহরের হাড়িখালি এলাকার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করতেন এবং বাগেরহাট পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন।
তদন্তে জানা গেছে, হায়াত উদ্দিন সামাজিক মাধ্যমে মাদক ব্যবসা, রাজনৈতিক দুর্নীতি ও ঠিকাদারি অনিয়ম নিয়ে সরব ছিলেন। এর আগেও তাঁকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি ইসরাইল মোল্লা বিএনপির কর্মী এবং ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার সোসাইটির জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি মাহামুদ-উল-হাসান জানিয়েছেন, “হায়াত উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর মা মামলা করেছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” #