১৬ মে ২০২৫, ০৬:১২ অপরাহ্ন, ১৭ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি, শুক্রবার, ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বাগেরহাটে জেলার প্রথম মোরেলগঞ্জ সরকারি এসএম কলেজ বিজ্ঞান ও অলিম্পিয়াডে সুন্দরবনের উপকূলের ৯উপজেলায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন কবরস্থানের সভাপতি পদের জন্য নির্বাচন! লড়বেন যুবদল-শ্রমিকদল নেতা সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটে বোরো ধানের বাম্পার ফসল,কৃষকের মুখে হাসি বাঁশখালীর উত্তরের চিংড়াখালী মসজিদে নাম নিয়ে বিরোধ — আদালতে মামলা, মসজিদে অশান্তির অভিযোগ দিনাজপুর হিলি ঘাসুড়িয়া সীমান্তবর্তী ধান ক্ষেত থেকে ড্রোন উদ্ধার ঝালকাঠিতে ১০ দিনব্যাপী বিসিক শিল্প উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত বরিশালে মাহিন্দ্রা-প্রাইভেটকারের সাথে সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ৫ থাইল্যান্ড পালানোর পথে বিএনপি নেতা আটক
সুন্দরবনের উপকূলে ভেঙে পড়া সেতুতে চরম ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ চরমে

সুন্দরবনের উপকূলে ভেঙে পড়া সেতুতে চরম ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ চরমে

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটের শরণখোলার দক্ষিণ তাফালবাড়ী ৪ নং সাউথখালী ইউনিয়নের নিব্বানের বাড়ী সংলগ্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু এখন চরমভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কাঠের তৈরি এই সেতুটি দীর্ঘদিনের অবহেলায় ভেঙে পড়েছে, যা প্রতিদিন শত শত গ্রামবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেতুটির মাঝখান সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। সেতুর কাঠের ফ্লোর ভেঙে পড়ে আছে, কোথাও কোথাও ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে। পাশের রেলিংগুলোও নড়বড়ে ও প্রায় ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায়। সেতুটি পারাপারের উপযোগী তো নয়ই, বরং প্রতিনিয়ত বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।

এই সেতুটি স্থানীয়ভাবে দক্ষণ তাফালবাড়ী অন্তত তিনটি গ্রামের মানুষ ব্যবহার করেন। বিশেষ করে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী, কৃষক ও বাজারে যাতায়াতকারী মানুষ প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছেন। বর্ষা মৌসুমে সেতুটি একেবারেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা ৫০ নং দক্ষিণ তাফালবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমণী হালদার, দৈনিক নিরপেক্ষ কে জানান, “সেতুটি বহু বছর আগেই নির্মাণ করা হয়েছিল। এরপর আর কোনো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা বারবার স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেই।”

এই অবস্থা চলতে থাকলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের দাবি, দ্রুত এই সেতুটি পুনর্র্নিমাণ না হলে শিক্ষার্থী ও কৃষিজ পণ্য পরিবহন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে, যা স্থানীয় অর্থনীতির ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019