২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, ২১শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
মাদারীপুর সদর থানার ধুরাইল ইউনিয়নের উত্তরবিরাঙ্গন গ্রামে পরকীয়ার জেরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মাহিনুর আক্তারকে নিয়ে পালিয়েছে বড় ভাই। এ ঘটনা নিয়ে গত দুইদিন ধরে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১২ বছর পূর্বে মাদারীপুর সদর থানার ধুরাইল ইউনিয়নের সামসুদ্দিন সরদারের ছেলে ইতালি প্রবাসী পান্নু সরদারের সঙ্গে মাহিনুর আক্তারের বিয়ে হয়। পান্নু-মাহিনুর দম্পত্তির ৯ বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। স্ত্রী-সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা চিন্তা করে অর্থ উপার্জন করার জন্য ৫ বছর আগে পান্নু সরদার ইতালিতে পাড়ি জমান। কিছুদিন যেতে না যেতেই শুরু হয় বাচ্চু ও মাহিনুরের পরকীয়া প্রেম। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে বাচ্চু তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান।
ধুরাইল ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুর রহমান মুন্সী বলেন, বাচ্চু সরদার ও মাহিনুর যে কাজটি করেছে সেটা খুবই জঘন্য। তাদের এই কুকীর্তি এলাকার সবাই জেনে ফেলায় তারা এখন গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে থাকে। শুনেছি মাহিনুর নামের ওই মহিলা তার স্বামী পান্নুকে ডিভোর্সও দেয়নি।
অভিযুক্ত বাচ্চুর স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, আমার স্বামী একটা প্রতারক। সে আমার সংসার থাকাকালীন তারই ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে। আমাদের সংসারে দুটি সন্তানও রয়েছে। স্ত্রী-সন্তান রেখে সে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছে। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করেছে। এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।
ধুরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, বাচ্চু সরদার তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে এ ঘটনা সত্য। বাচ্চু-মাহিনুর জঘন্যতম কাজ করেছে। ওদের সামাজিক ও আইনিভাবে বিচার হওয়া উচিত।
ভুক্তভোগী প্রবাসী পান্নু সরদার বলেন, আমি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ইতালিতে থাকি। স্ত্রী সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে কষ্টের জীবন কাটাচ্ছি। সেই স্ত্রীই মেয়েকে ফেলে আমার বড় ভাই বাচ্চু সরদারের সঙ্গে পরকীয়া করে টাকা-পয়সা, স্বর্ণ-গহনা নিয়ে পালিয়েছে। আমি প্রবাসে থাকায় আমার বড় ভাই বাচ্চু আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালাল, তার একটুও বুক কাঁপল না। কতটা জঘন্য হলে একটা ভাই এমন কাজ করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমি টঙ্গী থানায় একটি মামলাও করেছি। মামলাটি চলমান। বাচ্চুর একাধিক মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কও ছিল, প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করত।