০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৯ অপরাহ্ন, ৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ
তেঁতুলিয়ায় কাজী ব্রাদার্স আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসছিল অসামাজিক কর্মকান্ড। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সের যুবতীদের এনে অসামাজিক কাজকর্ম পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে হোটেল ম্যানেজার জবেদ আলীর বিরুদ্ধে। ক্ষমতার দাপটে অসামাজিক কার্যকলাপ চোখে পড়লেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। আগস্ট মাসে স্থানীয় জনতা দলবদ্ধ ভাবে অসামাজিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে জানিয়ে হোটেল ঘেরাও করে।
হোটেলটি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন হওয়ায় ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায়নি। দীর্ঘদিন যাবত কাজী ব্রাদার্স আবাসিক হোটেলে বিভিন্ন সময়ে ম্যানেজারকে মেনেজ করে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা হয়ে আসছে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকায় কেউ মুখ খুলেনি৷
সম্প্রতি অসামাজিক কার্যকলাপের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুজন যুবক যুবতীকে হোটেল কক্ষে আটক করে স্থানীয় জনগণ। আটককৃতরা দুজনেই কলেজ শিক্ষার্থী, একজন পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আপরজন এমআর সরকারি কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা পঞ্চগড়ের বাসিন্দা।
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কৌশলে তাদের ছেড়ে দেয় কতিপয় জামাত নেতা। দুই শিক্ষার্থী হোটেল বুকিং নিলেও রেস্টার খাতায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। শুধু তারাই নয় বাইরে থেকে বিভিন্ন সময় যুবতীদের এনে এই আবাসিকে রেখে খদ্দরের কাছে সরবরাহ থাকে। এছাড়াও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, উঠতি বয়সী যুবক যুবতীদের ঘন্টা হিসেবে রুম বুকিং করে থাকেন ম্যানেজার।
এ ব্যাপারে হোটেল ম্যানেজার জবেদ আলী বলেন, এসব কাজে আমি জড়িত নই। সেদিনের ঘটনার সময় আমি হোটেলে ছিলাম না। আমার অনুপস্থিতিতে এই রুম বুক হয়েছে। পরে ফোন পেয়ে হোটেলে এসে জানতে পারি সেই যুবক-যুবতীদের স্থানীয় দুইজন জামায়েতে ইসলামীর সদস্য তাদের নিয়ে চলে যায়।
এব্যাপারে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বলেন, বিভিন্ন দিক থেকে আমাদের কাছে নানান অভিযোগ আসছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা যেকোনো সময় অভিযান পরিচালনা করবো।