১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, ১৮ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শফিকুল ইসলাম দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলাধীন ৩ নং খানপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত
কালিশহর এলাকায় এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনায় জানা যায়,
উক্ত মহল্লায় আইন অমান্য করে জবর দখল পূর্বক জমির উপরে চাষাবাদ করার সময় বাদিনি ঝরনার উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় বিবাদী সুনীলের পুত্র শঙ্কু মৃত নেদার ছেলে হিতেন্দ্রনাথ নেদা ও সুনীল উৎপল অমূল্য সহ ভাড়াটিয়া দল।
ঘটনার সময় ছিল আজ সকাল বেলায় ঝর্না রানী জানতে পারে তার জমিতে বিবাদীগণ চাষাবাদ করিতেছে এমন খবরে তিনি জমি দেখে তাদের বাধা দেয়। এমন অবস্থায় বিবাদীগণ ঝরনা বেগমের উপর হামলা চালায়।
বিবাদীগণ বে-আইনি জনতায় দলবদ্ধ হইয়া দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র লইয়া বর্ণিত সম্পত্তিতে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করেন। এ সময় বিবাদীগণ বাঁধিনির উপর হামলা চালায়।
অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ সহ হুমকি প্রদান করে থাকেন। এ সময় বিবাদীগন ঝরনা রানীকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করতে থাকেন ও কাদার মধ্যে টানা হেছড়া করে কাঁদার মধ্যে তার মাথা ঢুকিয়ে দেয়।
এসময় ঝর্ণা রানী বিপদের মধ্যে পড়ে যায়। নিজেকে রক্ষার্থে ঝরনা রানী সুকৌশলে তার মাথা কাদা থেকে বের করে চিল্লা চিল্লি করে ছুটে আসেন জনতা ও তার দুই ছেলে। এ সময় বিবাদীগণ ঝর্না রানীর শরীরের কাপড়-চোপড় টানা হেঁচড়া সহ শীলতাহানির চেষ্টা চালায়।
এমন সময় তার গলা টিপে ধরে শ্বাসরুদ্ধের চেষ্টা চালায়।
এমন অবস্থায় ঝর্ণা রানী ছটফট করিতে থাকে। এমন অবস্থায় ঘটনাস্থলে বাধিনীর ছেলেরা সহ স্থানীয় জনতার উপস্থিতিত হয়ে তার মাকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে ঝরনা রানী জানান বিবাদীগণ হইতেছে একদল দুর্ধর্ষ প্রকৃতির মানুষ তারা পারে না এমন কোন কাজ নেই। এই জমি জমাকে কেন্দ্র করে বিবাদী দলের ভয়ে আতঙ্কে বসবাস করছে বলে জানান ঝরনা রানী।
আইন অমান্য কারী । এ বিষয়ে তিনি বিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনা তদন্ত চলমান রয়েছে বলে বিরামপুর থানা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী আরো জানান এই জমা জমি নিয়ে বহুদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে।
জমির কাগজ পত্রের দিক দিয়ে ঝর্না রানীর কাগজ পত্র সঠিক রয়েছে।
এর পরেও বিবাদীগণ জবরদখলপূর্বক উক্ত সম্পত্তি নিজের করে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাদিনী ঝরনা বেগম খুবই ভালো মানুষ সংখ্যালঘু একটি অসহায় পরিবার কারো সহিত তারা কখনো কোন প্রকার গন্ডগোল ফাসাদ করতে দেখি নাই বলে জানান এলাকাবাসী।
উক্ত বিষয়ে স্থানীয় থানায় অনেকবার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে মীমাংসার জন্য বৈঠক হয়েছে। তাতে করে কোন প্রকার ফায়দা হয়নি।
সরোজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান এলাকাবাসি।