২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
তেঁতুলিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

তেঁতুলিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

Exif_JPEG_420

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ উপজেলার শালবাহান দ্বি- মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক কাবুলের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও সুশীলসমাজ।
বুধবার বিকেলে উপজেলার শালবাহান বাজারের আঞ্চলিক সড়কে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করেন। এ সময় মানববন্ধন ও বিক্ষোভে বক্তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ সহ নানা অপকর্ম সকলের সামনে তুলে ধরেন এবং প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে জানান তারা।
বক্তারা বলেন, একজন নারীকে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া ভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। যেটার বিষয় কেও জানানে। এমনকি বিদ্যালয়ে একের পর এক অনিয়ম করে যাচ্ছেন এই প্রধান শিক্ষক। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে নিয়োগ কার্যক্রম করার টাকা দিয়ে পঞ্চগড় শহরে জমি সহ একটি বাড়ি ক্রয় করেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের দু’টি নিজস্ব মার্কেট নির্মানে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামীলীগের সদস্য আব্দুল বাসেদ, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়ব আলী মিয়া, আওয়ামীলীগের সদস্য শফিউল আলম বুলবুল, সমাজসেবক হাবিবুর রহমান।
অভিযোগ, শালবাহান দ্বি- মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক কাবুল প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে নিয়োগ বোর্ড গঠন করেন৷ পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের এমপিও শীটে সহকারী শিক্ষক (শাখা) তাসরীন আকতারকে নতুন ও প্রথম এমপিও ভূক্ত করা হয়েছে। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ে আসেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগও করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য এসএম মহসীনুল রহমান। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষকের কথা অনুযায়ী ওই শিক্ষিকাকে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি বিগত ২০১৫ সালে নিয়োগ প্রদান এবং তিনি ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মাসে যোগদান করেন। তখন থেকে অদ্যাবধি ওই শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি। বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কারো সাথে তিনি পরিচিত ও সম্পর্কিত না। এলাকাবাসী সহ সর্বস্তরের জনগণে প্রশ্ন যদি ঐ শিক্ষক ২০১৫ সালে নিয়োগ নিয়ে থাকেন তাহলে ৯ বছর কেন বিদ্যালয়ে আসেননি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019