১৭ মে ২০২৪, ০২:৪১ অপরাহ্ন, ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
মেয়েরা চাকরি শুরু করার পর থেকেই ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায় ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’নীতি বাস্তবায়নে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ১৫দিন ধরে অনুপস্থিত,মেলেনি নোটিশের জবাব বাবুগঞ্জে ইউপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ১৫ টি ল্যাপটপ চুরি তিন লাখ রেনু পোনা জব্দ, ৯ জেলে আটক বরিশালের হিজলা ও মুলাদীতে। চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহের উদ্বোধন বিদেশ ফেরত আগৈলঝাড়ার দুই যুবকের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচি চাঁদা’ হিসেবে লুঙ্গি দাবি, ওসিকে বদলি! বাবুগঞ্জে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়তেই এ সফর: ডোনাল্ড লু
সুন্দরগঞ্জে তিস্তা শাখা নদীতে কাঠের সাঁকো ভেঙ্গে ৩০ হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগে

সুন্দরগঞ্জে তিস্তা শাখা নদীতে কাঠের সাঁকো ভেঙ্গে ৩০ হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগে

শহীদুল ইসলাম শহীদ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের র্খোদ্দা গ্রামের তিস্তা শাখা নদীর উপর নির্মিত কাঠের সাঁকো টানা বৃষ্টির পানির স্রোত ও কচুরি পানার চাপে ভেঙ্গে নদীতে পড়ে গেছে। এতে করে যাতায়াতের জন্য দু’পাড়ের মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জরুরি প্রয়োজনে দু’পাড়ের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিঙ্গি নৌকায় পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন। এই স্থানে সেতু নির্মাণসহ রাস্তা পাঁকাকরণের দাবি এলাকাবাসির।
জানা যায়, প্রায় দুই যুগ থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই পাড়ের মানুষ তিস্তা শাখা নদী নৌকায় পারাপার হতেন। বিগত সাত বছর আগে এলাকাবাসি সম্মিলিতভাবে বাঁশ-কাঠ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন নদী পারাপারের জন্য। তখন থেকেই নদীর পশ্চিমে খোদ্দা, নিজামখাঁ, ঘগোয়া, চাচিয়া, রংপুরের তালেরহাট, তাম্বুলপুর, পীরগাছা ও চর খোর্দ্দা, চর লাটশালা, চর তারাপুরসহ কুড়িগ্রাম, উলিপুর, চিলমারী রাজার হাট উপজেলার লোকজন পারাপার হতেন এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে। সাঁকোটি বাশের হওয়ায় প্রতিবছর মেরামত করতে হয়।
পরে যোগাযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ও স্থানীয়, ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর আর্থিক সহযোগিতায় ৩ বছর আগে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে ওইস্থানে একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। তীব্র পানির স্রোত ও কচুরিপানার চাপে এক সপ্তাহ আগে পারাপারের একমাত্র ভরসা তিস্তা শাখা নদীর উপর নির্মিত কাঠের সাঁকোটি ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় পারাপার হতে না পেরে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ র্খোদ্দাচরের স্কুলের বাজার ও লাটশালার নতুন বাজারের ব্যবসায়িরা। এ সাঁকোর পাশেই দেশের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ‘তিস্তা সোলার লিমিটেড’ অবস্থিত । প্রতিদিন এখানকার উৎপাদিত ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে বিনোদন কেন্দ্র আলীবাবা থিম পার্ক। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আলীবাবা থিম পার্কের দর্শনার্থীরাও পড়েছেন বিপাকে। বিশেষ করে নদীর দুই পাড়ের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জরুরি প্রয়োজনে গ্রামবাসিরা ডিঙ্গি নৌকায় পারাপার হচ্ছেন। অনেকেই ১০/১৫ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করছেন।
শফিকুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে স্থানীয়দের । স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এ অবহেলিত এলাকার প্রতি কেউ তাকায়নি। কোন রাস্তা পাঁকাও হয়নি। হয়নি কোন সেতু নির্মাণ। তাই এলাকার মানুষের জীবন যাত্রার মানও বাড়েনি। তিনি আরো বলেন সবাই শুধু ভোটের সময় অঙ্গিকার করে, নির্বাচিত হলে আর আসে না। একটি সেতু নির্মাণসহ র্খোদ্দা ও লাটশালা গ্রামের রাস্তা পাঁকা করার দাবি জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
আলামিন ইসলাম নামের এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন, কাঠের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। একটা সেতু হলে চরাঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের দুঃখ ঘুচবে।
ইউপি সদস্য মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, প্রতি বছর এ সাঁকো মেরামত করতে অনেক টাকা ব্যয় হয়। এলাকাবাসি, ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এমপির আর্থিক সহযোগিতায় এ ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এই স্থানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ নিয়ে তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম লেবু বলেন, নদীতে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই সেতু নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া যাবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ শামসুল আরেফিন খান বলেন, ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণে অনুমোদনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প পাস হলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019