২৫ Jun ২০২৫, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, ২৮শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ১২ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
জাতীয় শিশু কিশোর ও যুব কল্যাণ সংগঠন চাঁদের হাটের প্রতিষ্ঠাতা, খ্যাতিমান ছড়াকার, রফিকুল হক দাদুভাইর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ২০২১ সালের এদিনে তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নেন।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদের হাট প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, চাঁদের হাট কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি কবি ও কথাশিল্পী মুজতবা আহমেদ মুরশেদ ও সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আনন্দবাজার সম্পাদক মুফদি আহমেদ,জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো.
মঞ্জুর হোসেন ঈসা এবং ছড়াকার তৌহিদুল ইসলাম কনক মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন। এ ছাড়া দেশব্যাপী চাঁদের হাটের বিভিন্ন শাখায় দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভার আয়োজন করেছে। মরহুমের পরিবার দিনটিতে তার কবর জেয়ারত, কুরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। একই সাথে তার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, গুণগ্রাহী, শুভাকাক্সক্ষীদের দোয়া কামনা করা হয়েছে।
এক নজরে দাদু ভাই : রফিকুল হকের জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৩৭। পিতা মরহুম ইয়াছিন উদ্দিন আহম্মদ, মাতা মরহুমা রহিমা খাতুন। পৈত্রিক নিবাস রংপুর শহরের কামালকাচনায়। আদি নিবাস ভরতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার শহরে। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা হামিদা হকের মৃত্যুর পর তিনি আবার বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ছোট ছেলে জ্যোতি হক শিক্ষার্থী অবস্থায় এক দুর্ঘটনায় নিহত হন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় উজ্জীবিত এ কলমসৈনিক স্বাধীকার আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে সক্রিয় ও তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বাংলাদেশে প্রথম ছাড়া লেখার কৃতিত্বের অধিকারী তিনি। রফিকুল হক দাদুভাই একজন স্বনামধন্য গীতিকার ও নাট্যকার। টেলিভিশন ও বেতার মাধ্যমে তার লেখা অসংখ্য বড়দের ও ছোটদের নাটক এবং শিশুতোষ গান দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে। মরমী সঙ্গীত শিল্পী আবদুল আলীমের কণ্ঠে তার লেখা গান ‘নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা, কোন দূরে যাও চইলা’ আজও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের প্রিয় গান। দাদুভাই দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।অধুনালুপ্ত দৈনিক ‘পূর্বদেশ’র ছোটদের পাতা ‘চাঁদের হাট’-এর সম্পাদক দাদুভাই এ সময়ের অনেক খ্যাতিমান লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীর প্রতিষ্ঠার ভিত তৈরি করেছেন। উপমহাদেশে শিশু-কিশোরদের প্রথম সংবাদপত্র ‘কিশোর বাংলা’ তার সম্পাদনায় ঢাকা থেকে দীর্ঘদিন প্রকাশিত হয়। তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক যুগান্তরের ফিচার সম্পাদক। বাংলা শিশুসাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রফিকুল হক দেশ ও বিদেশে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। শিশুসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ২০০৯ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ফেলোশিপ লাভ করেছিলেন।বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়
দাদুভাই।তাঁর তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে।