২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩০ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
বরিশাল নগরীর জনবহুল এলাকা পোর্ট রোডে রিভলবার নিয়ে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও শ্রমিক লীগ নেতার ধস্তাধস্তির ঘটনায় দু’পক্ষ একই স্থানে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সোমবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দু’পক্ষ একে অপরকে দায়ী করে বিচার চায়। এদিকে পুলিশ বলছে, সেদিনের ঘটনার জন্য কে দায়ী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রোববার দুপুরে পোর্ট রোড ভূমি অফিসের সামনে মর্তুজা ও মান্নার মধ্যে রিভলবার নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। মর্তুজার অভিযোগ, তিনি ভূমি অফিস থেকে বের হওয়ার পর আগে ওতপেতে থাকা মান্না তাঁকে মারধর করে তাঁর লাইসেন্স করা রিভলবার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। অপরদিকে মান্নার অভিযোগ, মর্তুজা তাঁকে গুলি করার চেষ্টা করলে তিনি জাপটে ধরেন।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নাঈমুল ইসলাম লিটু বলেন, হামলার শিকার শ্রমিক লীগ নেতা মান্না রোববার বিকেলে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। সেটা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা জানা নেই। সংবাদ সম্মেলনে জাপা নেতারা বলেন, ঘটনার পর মর্তুজার পক্ষে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। এ ঘটনায় পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মর্তুজার ওপর মান্না হামলা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গ তুললে লিটু বলেন, তার আগে মান্নাকে স্লেজিং (কটূক্তি) করে রাগিয়ে তোলেন মর্তুজা, যা ভিডিওতে ধরা পড়েনি। বয়স কম হওয়ায় মান্না নিজের রাগ ধরে রাখতে পারেননি।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, পুরো ঘটনা মর্তুজার পূর্বপরিকল্পিত। যে কারণে তিনি আগে থেকে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা চালু করে বুকপকেটে রেখেছিলেন। এ বিষয়ে মর্তুজা বলেন, তিনি ভূমি অফিসের মধ্যে থাকাকালীন বাইরে মান্নার অবস্থানের খবর পান। হামলার শঙ্কায় তিনি ফোনের ক্যামেরা চালু করে রাখেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, দু’পক্ষের কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। রিভলবার নিয়ে ধস্তাধস্তি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দুই নেতার মধ্যে কে দায়ী, তা চিহ্নিত করতে পেরেছেন কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমরা এখনও সবকিছু যাচাই-বাছাই করছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’