২২ মে ২০২৪, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, বুধবার, ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
কেরু’জ চিনিকলে ১০৪ শ্রমিকের ১যুগ পর সিজিনল মৌসুমী হতে স্থায়ীকরণ, শ্রমিকদের মাঝে খুশির জোয়ার,হোটেল হোটেলে মিষ্টি বরণের ধুম এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার পর খণ্ডবিখণ্ড করা হয়েছে: ক্যাবচালক সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বরিশালে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, পুলিশ কর্মকর্তার কারাদণ্ড গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী গাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলা দামুড়হুদায় নিখোঁজ বিএনপির নেতার মরদেহ পাটক্ষেতে উদ্ধার চুয়াডাঙ্গায় নঈম,আলমডাঙ্গার মঞ্জিলুর নির্বাচিত আগৈলঝাড়ার রাজিহার ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের নির্বাচনী জনসভায় মানুষের ঢল বাবুগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপনের সেন্টার কমিটি গঠন চুয়াডাঙ্গায় ধান ও চাল ক্রয় শুরু মাইকিং করে ক্রয় মূল্য প্রচার
দাঁড়িপাল্লায় মেপে কনের ওজনের সমপরিমাণ টাকা উপহার

দাঁড়িপাল্লায় মেপে কনের ওজনের সমপরিমাণ টাকা উপহার

আজকের ক্রাইম ডেক্স

কনের বাড়িতে বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষ। এমন সময় হঠাৎ উঠানে টানানো হলো একটি বড় দাঁড়িপাল্লা। এক পাল্লায় তুলে দেওয়া হলো বিয়ের পোশাক পরা কনেকে, অন্য পাল্লায় রাখা হলো কয়েন (টাকা)। এরপর কনের ওজনের সমপরিমাণ কয়েন উপহার হিসেবে দেওয়া হয় পাত্রপক্ষকে।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের প্রাগপুর মাঠপাড়া গ্রামে গত মঙ্গলবার এমনই এক অভিনব বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাগপুর মাঠপাড়া গ্রামের রতন আলীর মেয়ে মাছুরা খাতুন রিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মাইনুল ইসলামের ছেলে বিপ্লবের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন আগে তারা নিজেরা বিয়ে করেন। পরে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে সবার উপস্থিতিতে মেয়ের বাবা দাঁড়িপাল্লায় মেপে কনের সমপরিমাণ কয়েন (টাকা) ছেলেকে উপঢৌকন দেন।

মেয়ের পরিবার বিষয়টিকে ‘মানত’ দাবি করলেও অনেকে একে যৌতুক হিসেবে দেখছেন। তবে ছেলে ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে মেয়ের বাবা রতন আলী বলেন, মেয়ের জন্মের সময় মানত করা হয়েছিল– মেয়ে বেঁচে থাকলে বিয়েতে তার ওজনের সমপরিমাণ টাকা উপঢৌকন দেব। তাই মেয়েকে দাঁড়িপাল্লায় মেপে কয়েন দেওয়া হয়েছে।

মাঠপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে ওজন করে টাকা দেওয়া ঠিক হয়নি। এটি যৌতুক না ‘মানত’, তা নিয়ে মানুষের মাঝে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দাঁড়িপাল্লায় মেপে টাকা দেওয়ার ঘটনা এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল মাস্টার বলেন, দাঁড়িপাল্লায় মেপে টাকা দেওয়া অন্যায় হয়েছে। কেন এটি করা হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

দৌলতপুরের ইউএনও মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি এখনও জানি না। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা আইনত অপরাধ। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019