১৯ মে ২০২৪, ১০:৩৬ অপরাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
অভিনেত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান সুন্দরগঞ্জে বাধার মুখে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ পটুয়াখালীতে ফোন চাওয়ায় মায়ের বকাঝকা, এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা আগৈলঝাড়ায় শুক্রবার রাতে স্কুল ছাত্রী ও গৃহবধুর আত্মহত্যা বরিশাল নগরী বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনমূলক অভিযান বাবুগঞ্জে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা মামলায় কারাগারে মাদরাসা সুপার চাঁদপাশায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা বিনতে ওহাব এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
বাবুগঞ্জে শ্বশুরের হামলায় জামাতা আহত ! থানায় অভিযোগ

বাবুগঞ্জে শ্বশুরের হামলায় জামাতা আহত ! থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বরিশালের বাবুগঞ্জে শ্বশুরের হামলায় জামাতা গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাবুগঞ্জ থানায় আহত জামাতা বাদী হয়ে শ্বশুরকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলা ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও বাবুগঞ্জ কলেজের উপাধ্যক্ষ গোলাম হোসেন এর ছোট বোন মোসাম্মৎ মরিয়ম বেগমের মেয়ে লাইজুন নাহার এর সাথে বাদী (লাইজুন নাহার পপির স্বামী) সাইফুল হাওলাদার সোহান এর সাথে পারিবারিক বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের খানপুরা গ্রামের হালিম হাওলাদার এর পুত্র মোঃ সাইফুল হাওলাদার সোহানকে ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের বাসিন্দা ও বাবুগঞ্জ স্টিল ব্রিজ এলাকার বাবুগঞ্জ বিল্ডার্স এর স্বত্বাধিকারীরা বিবাদী মোঃ আরাফাত হোসেন ফরিদ বাদী মোঃ সাইফুল ইসলাম হাওলাদারকে মোবাইলে ফোন করে দোকানে ডেকে আনেন। এসময় আরাফাত হোসেন ফরিদ ১ নং বিবাদী বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি গোলাম হোসেনকে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডেকে আনেন। পরে আরাফাত হোসেন ফরিদ ও অধ্যাপক মোঃ গোলাম হোসেন তাঁর আপন বোনের মেয়ে জামাতা মোঃ সাইফুল হাওলাদার সোহানকে আদালতের মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। বাদী মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ার অধ্যাপক মোঃ গোলাম হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী সাইফুল হাওলাদার সোহানকে কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এসময় সাইফুল হাওলাদার সোহান গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় তাঁকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি গোলাম হোসেন এলোপাতাড়ি কিল,ঘুষি ও চর থাপ্পড় মারেন। এমনকি দোকানের লোহার রড দিয়ে বাদীকে আঘাত করেন। এসময় তার সাথে হামলায় সরাসরি অংশগ্রহন করেন বাবুগঞ্জ বিল্ডার্স এর স্বত্বাধিকারী আরাফাত হোসেন ফরিদ। এক পর্যায়ে বিবাদীরা সাইফুল হাওলাদার সোহানের উপর হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করেন। পরে বাদী সাইফুল হাওলাদার সোহান ডাকচিৎকার দিলে পথচারীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে প্রেরণ করেন। ভুক্তভোগী সাইফুল হাওলাদার সোহান বলেন, অধ্যাপক গোলাম হোসেন আমার স্ত্রীর মামা এবং আরাফাত হোসেন ফরিদ আমার স্ত্রীর মামাতো ভাই। ২০১৮ সালে খানপুরা গ্রামের সুলতান আহমেদ এর মেয়ে লাইজুন নাহার পপির সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘর সংসার করি। পরবর্তীতে আমার স্ত্রীর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহের সৃষ্টি হয় এবং স্ত্রীর সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি হয়। যা এক পর্যায়ে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। যা এখনো আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সাড়ে ১২ টার দিকে আরাফাত হোসেন ফরিদ ও আমার মামা শ্বশুর ধ্যাপক মোঃ গোলাম হোসেন বাবুগঞ্জ স্টীলব্রিজ এলাকায় বাবুগঞ্জ বিল্ডার্স নামে একটি দোকানে ডেকে এনে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এ হামলার বিষয়ে বিবাদী গোলাম হোসেন মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, সাইফুল হাওলাদার আমার আত্নীয় স্বজনদের নিয়ে বিভিন্ন সময় গালিগালাজ করায় তাকে শাসিয়ে দিয়েছি। মারধর করিনি।

বাবুগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হামলার ঘটনায় বাবুগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন কার হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019