২১ মে ২০২৪, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোহাম্মদ আলী, বাবুগঞ্জঃ কয়েক মাস ধরেই নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এই ধারা দিন দিন বেড়েই চলছে। রমজানেও দাম বেড়েছে বিভিন্ন পণ্যের। এর প্রভাব পড়েছে ফলের বাজারেও রমজানকে সামনে রেখে বাবুগঞ্জে নিরবে বেড়েছে খেজুর সহ সব ধরনের ফলের দাম। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের নজরদারী নেই বলে অভিযোগ সাধারন ভোক্তাদের।
খেজুর ছাড়াও কমলা, আপেল, নাসপতি ও মাল্টা সহ সব আমদানীকৃত ফলের দামও গত এক সপ্তাহে ৩০ থেকে ৫০ ভাগ পর্যন্ত বেড়েছে।
স্থানীয় পাইকারী ফল ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ঢাকার পাইকারী ফলের বাজারে গত এক সপ্তাহ যাবত বেশী দাম রাখায় বাবুগঞ্জের সর্বত্রই তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
গত এক সপ্তাহে বাবুগঞ্জের খুচরা বাজারে প্রতি কেজির কমলার দাম ১৩০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায় উঠেছে। মাল্টা’ও বিক্রী হচ্ছে দেড়শ টাকার স্থলে ১৯০ থেকে ২শ টাকায়। আঙুরের কেজী ১৭০ টাকা থেকে ২২৫ টাকায় উন্নীত হয়েছে। ১৬০ টাকার নাসপতি এখন ২৩০ টাকা কেজি।
এছাড়াও তরমুজ সহ অন্যসব অপ্রচলিত ফলের দামও বাড়তির দিকে। থাই পেয়রার কেজি ৬০ টাকা থেকে ৮০থেকে ৯০ টাকায় উঠেছে।
উপজেলার রহমতপুর বাজার, মীরগঞ্জ বাজার, নতুন হাট বাজারেও একই পরিস্থিতি।
ফলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে রহমতপুর বাজারে ফল বিক্রেতা শাহাব উদ্দিন জানান, গত এক সপ্তাহে আগের তুলনায় প্রায় সব ফলেরই দাম বেড়েছে। আগে এক কেজি কমলা বিক্রি করতাম ১৭০-১৮০ টাকা, এখন সেটা বিক্রি করতে হয় ২২০-২৩০ টাকায়। এরকম প্রায় সব ফলেরই দাম বেড়েছে। তরমুজের দাম প্রতিটিতেই ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।
একই কথা বলেন খুচরা ফল বিক্রেতা ফয়সাল হোসেন। তিনি বলেন, বর্তমানে এক কেজি আনারের দাম ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১৪০ টাকা। এখন বেচাকেনাও তেমন নেই। দাম বাড়ছে সব ফলেরই।
‘
ফলের দাম বাড়ার পেছনে একশ্রেণির সিন্ডেকেটকে দায়ী করছেন খুচরা ফল ব্যবসায়ীরা। আড়তদার ও পাইকারি বিক্রেতারা প্রতিদিনই ক্যারেটপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে সুবিধামতো দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের। এতে বিপাকে পড়ছেন তারা।
তবে ক্রেতারা বলছেন, রোজা এলেই দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ইচ্ছে থাকলেও প্রয়োজনীয় সব ফল কেনা সম্ভব হয় না।
বাবুগঞ্জ বাজারে আসা আল আমিন নামের এক ক্রেতা বলেন, দিন দিন দাম বাড়ছেই। কিছু করার নেই। ফলতো কিছু কেনা লাগবেই।
মোঃ সোহেল রানা নামের আরেক ক্রেতা বলেন, মালটার দাম এক সপ্তাহ আগেও কম ছিল। এখন দাম বেড়েছে। কাল-পরশু আবার হয়তো এর চেয়ে বেশি দামে কিনতে হবে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমীনুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে কিছু পণ্যের চাহিদা থাকে। এ সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার জন্য বেশি মূল্যে বিক্রি করেন।
ফলের বাজার তদারকিতেও আমাদের টিম কাজ করছে। কেউ যাতে বাজার অস্থিতিশীল না করতে পারেন সে ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।