১৫ মে ২০২৪, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, ৬ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, বুধবার, ৩১শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৯ পুলিশ সদস্যকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও অর্থ পুরস্কার প্রদান দামুড়হুদা উপজেলা বিএন‌পির সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ ১৩ নেতাকর্মীর জেল হাজতে নয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, পিতা-পুত্র গ্রেপ্তার বলেন পাকিস্তানি দেন দেশি, যত কায়দায় তনির প্রতারণা চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্ত্রীর মৃত্যু অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকের ঘুষ-দুর্নীতি, অঢেল সম্পদে নজর দুদকের নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক, মোংলার ওসি তদন্তকে প্রত্যাহার রাজধানীতে তিন পার্বত্য জেলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনীবিতান উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী জীবননগরে ট্রাক চালকের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু মুলাদিতে ভেটেরিনারী টিচিং হাসপাতালের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কমিটি নিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে মারামারি, হাসপাতালে আ’লীগ নেতা

কমিটি নিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে মারামারি, হাসপাতালে আ’লীগ নেতা

আজকের ক্রাইম ডেক্স
হাসপাতালে চিকিৎসা নেন আওয়ামী লীগ নেতা মকলেছার রহমান
বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মকলেছার রহমানকে মারধরের খবর পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

সোমবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বিনাহালি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মকলেছার রহমান ওই বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সাবেক সভাপতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিনাহালি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, অ্যাডহক কমিটির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মকলেছার রহমান রোববার বেলা ১১টায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে হৈচৈ শুনে ওই স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষক সেখানে উপস্থিত হন।

এ সময় সিনিয়র শিক্ষক আজাহার আলী আওয়ামী লীগ নেতা মকলেছার রহমানকে বলেন, ‘সভাপতি পদ যাওয়ার পর থেকে তো আর আসেননি। এতদিন পর কেন স্কুলে এসেছেন?’ এমন প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হন মকলেছার। এরপর ওই শিক্ষকের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে কিল-ঘুষিও দেন আওয়ামী লীগ নেতা মকলেছার।

এর জের ধরে সোমবার বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মকলেছার রহমান আদমদীঘির ভাড়া বাসা থেকে বিনাহালি গ্রামে যাচ্ছিলেন। এ সময় চলন্ত মোটরসাইকেলে থামিয়ে তাকে কয়েকজন মিলে মারধর করেন।

আহত মকলেছার রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের কাছে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাগজপত্র নিতে গেলে সহকারী শিক্ষক আজহার আলীর সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। সেই জেরে আমার চলন্ত মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আজাহার আলীর ছেলে পারভেজ হোসেন আমার বুকে লাথি মারে। তার ছোট ভাই পাপ্পু শ্বাসরোধ করে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে এবং বিনাহালি উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আমাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন। এ সময় ঘটনাস্থলে আজাহার আলী উপস্থিত ছিলেন। মারধরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশের সহায়তায় আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক আজাহার আলী বলেন, ‘কারা মকলেছার রহমানকে মারধর করেছে তা আমার জানা নেই।’

বিনাহালি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘মকলেছার রহমানকে মারধরের ঘটনা লোকমুখে শুনেছি। ঘটনার সময় আমি আমার দোকানে ছিলাম। শত্রুতামূলক আমাকে ঘটনার সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মকলেছার রহমান গত ২৮ বছর স্কুল কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। গত তিনবছর ধরে আমি সেই দায়িত্ব পালন করছি। বর্তমানেও অ্যাডহক কমিটির সভাপতি রয়েছি। কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে মকলেছার শিক্ষকদের সঙ্গে মারধরে জড়ায় বলে জেনেছি।’

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, মকলেছার রহমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019