১৯ মে ২০২৪, ০৭:২৬ অপরাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
পর্দা উঠলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসরের। শুক্রবার দুপর দেড়টায় ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে এবারের আসর শুরু হলো। প্রথম ম্যাচে টস জিতে মেহেদি মিরাজদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব।
পরের ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রিয়াদ-তামিমের মিনিস্টার ঢাকা লড়বে মুশফিকের খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে।
টসজয়ী অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বরিশাল প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মেহেদী হাসান মিরাজের দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স তাই প্রথমে ব্যাটিং করবে। মিরাজ জানিয়েছেন, টস জিতলে তিনিও বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন।
ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে জিটিভি ও টি স্পোর্টসে। অনলাইনে সরাসরি দেখা যাবে র্যাবিটহোলে। বিপিএলের প্রতিটি ম্যাচ র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইটে সরাসরি উপভোগ করা যাবে।
এদিকে করোনার ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই প্রায় দুই বছর পর মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। প্রথমদিকে স্টেডিয়ামের অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে দর্শক প্রবেশের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চললেও শেষমেশ করোনার প্রকোপে সেই উদ্যোগও ভেস্তে গেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে আগেই। পরে দর্শক ছাড়া খেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
বিপিএলের রঙে রঙিন একাডেমি মাঠে। প্রথম দিনের দুই ম্যাচের চার দলের ক্রিকেটারে ভরপুর। বাহারি রঙের জার্সিতে ব্যাট বলের উৎসবের আমেজ।
বিদেশী নামীদামী তারকারা এখনও না আসায়, দেশী তারকায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে অষ্টম আসর। মাশরাফী ইনজুরিতে থাকায়, প্রথম দিনেরই মাঠে নামছে বাকি চার পান্ডব।
তাড়াহুড় করে বিপিএলের আয়োজন, যথেষ্ট প্রস্তুতি আর কম্বিনেশন নিয়ে মাঠে নামতে পারছে না দলগুলো। গেইল, মুজিবা এখনও যোগ দেননি।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জে সোহান, শান্ত, রানা, ব্রাভোর উপর ভরসা রাখতে হচ্ছে সাকিব-সুজন জুটির। শামীম, নাসুম, আফিফ, সাব্বির, শরিফুল চট্টগ্রামের প্রাণশক্তি। সেই শক্তিতে বরিশালকে হারিয়ে আসর শুরুর করতে চায় দলটি।
সন্ধ্যা ম্যাচে আলো ছড়াবেন, তামিম-মাহদুউল্লাহ-মুশফিক। ইনজুরিতে মাশরাফীকে পাওয়া যাচ্ছে না। শুরুর মোমেন্টাম পেতে মাহমুদউল্লাহর ভরসা তামিম, নাঈম, আন্দ্রে রাসেল, এবাদাতের মতো তারকারা। অন্যদিকে অলরাউন্ড শক্তিতে মুশফিকের চোখ জয়ে।
তিনটি ভেন্যু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ম্যাচগুলো হবে। মিরপুরের উইকেট নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। টি ২০ মানের উইকেট কমই পাওয়া যায় মিরপুরে। রান কম হওয়ায় টি ২০ ম্যাচের উত্তেজনাও কম থাকে।