২১ মে ২০২৪, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন, ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের স্টিকার লাগানো গাড়িতে মিলল ৭ লাখ পিস ইয়াবা মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চাওয়ায় দুই পুলিশকে পেটালেন যুবক আগৈলঝাড়ার বাকাল ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত পর্যটকদের নিরাপদ আবাসন নিশ্চিতে টুরিস্ট পুলিশ সুপারের হোটেল ফার্স অ্যান্ড রিসোর্ট পরিদর্শন বিএনপি নেতার গেটে সাইনবোর্ড ‘ভোট চাহিয়া লজ্জা দেবেন না প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, পুলিশ সদস্য আটক ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে: প্রধানমন্ত্রী ইরানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, প্রেসিডেন্ট রাইসির লাশ উদ্ধার বানারীপাড়ায় শিক্ষাই শক্তি সংগঠনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা সুন্দরগঞ্জে ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ভাটা বন্ধের নির্দেশ
স্বামী থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে, ইসলাম কী বলে

স্বামী থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে, ইসলাম কী বলে

আজকের ক্রাইম ডেক্স
আমাদের সমাজে দ্বিতীয় বিয়ের প্রচলন এখনও রয়ে গেছে। কেউ দ্বিতীয় বিয়ে করলে ওই পরিবারে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় আইনে স্বামী বা স্ত্রী উভয়ের জন্যই প্রতিকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে স্বামী থাকা অবস্থায় স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে বা পরবর্তীতে স্বামীর কাছে ফিরতে চাইলে কী করণীয় এ বিষয়ে ইসলাম কী বলে তা আজ আমরা জানব।

এ বিষয়ে বেগমগঞ্জের জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলূম হোসাইনিয়া মীরওয়ারিশপুরের শিক্ষক মুফতি আবু বকর রিশাদ উত্তর দিয়েছেন।

স্বামী থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ের বিধান কী বা ইসলাম কী বলে? এছাড়া যদি স্বামীর কাছে ফিরতে চায় অথবা ফিরিয়ে আনা হয় তাহলে করণীয় কী এমন প্রশ্নের জবাবে মুফতি আবু বকর রিশাদ বলেন, স্বামী থাকা অবস্থায় অন্য কারও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ও স্বামী আছে এমন নারীকে বিয়ে করা, উভয়ই হারাম ও নাজায়েজ। এমন কাজ থেকে বিরত থাকা সবার ওপর ফরজ। কেননা এমন করাটা শরীয়তে ব্যাভিচার বলে গণ্য হয়।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, (তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে) সকল সধবা নারী তবে যারা তোমাদের মালিকানাধীন হয়ে গেছে (তাদের কথা ভিন্ন)। (এসব বিধান) আল্লাহতায়ালা তোমাদের ওপর ফরজ করেছেন (সুরা নিসা-২৪)।

এখন কথা হলো দ্বিতীয় বিয়ের কারণে প্রথম বিয়ের সম্পর্ক হারাম হয়ে যাবে না। কেননা প্রথম বিয়েটা ছিল হালাল আর দ্বিতীয় বিয়েটা হলো হারাম। হারাম বিষয় কখনো হালাল বিষয়ের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে না।

যদি ফিরিয়ে আনা হয় অথবা ফিরে আসতে চায় এবং মহিলার দ্বিতীয় স্বামী (শাব্দিক অর্থে) প্রথম বিয়ে বিষয়ক জানা না থাকে তাহলে ইদ্দত পালন তথা তিন হায়েজ (মাসিক) শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা থেকে বিরত থাকবে। আর যদি দ্বিতীয় স্বামী প্রথম বিয়ে বিষয়ক জেনেও বিয়ে করে তাহলে ইদ্দত পালন করতে হবে না।

তথ্যসূত্র: তাফসীরে ইবনে কাছীর ১/৫৮৩, তাফসীরে রুহুল মাআনি ৪/৪-৫, সুনানে বায়হাকী- ১৪২৭৭, মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়েবাহ-১৭১৬৩, তুহফাতুল ফুকাহা ২/১১৩, বাদায়িউসসানায়ে ২/৫৪৮, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়াহ ১/২৮০, ফতোয়ায়ে কাযীখান ১/২২১, ফতোয়ায়ে শামী ৫/১৯৭।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019