২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২১ অপরাহ্ন, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সরকারের নির্ধালতি ঘোষিত ১৪ জুলাই পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউনের সিলেটের সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গত ১ জুলাই সাত দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরুর ভেতরেই করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে সোমবার (৫ জুলাই) নতুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সময়সীমা আরও সাত দিন বাড়ানো হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হতাশার মধ্যে পড়েছেন বিশেষ করে সিলেটের বড় বড় শপিং মহলের ব্যবসায়ীরা,পাশা পাশি আর দুশ্চিন্তায় পড়ছেন পরিবহণ শ্রমিকরা। তাছাড়া ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নানা দৈন্য দশায় দিন কাটাচ্ছেন। দিন মজুর মানুষ দোকান পাঠ ও দৈনিক হাজিরা কাজ না থাকায় নুন আন্তে পান্তা পুরাচ্ছে।
শামিম আহমদ নামের এক দিন মজুর জানান, আজ ৫ দিন ধরে কোথাও কাজ কর্ম নেই। বিধায় বৌ, বাচ্ছাদের নিয়ে বড় কষ্টে দিন কাটাচ্ছি, ঘরে নেই, চাল, ডাল।
ফারুফ আহমদ নামের এক অটো রিক্সা সিএনজি ড্রাইভার জানান, লকডাউন আসার পর থেকে বৃদ্ধ মা বাবাদের নিয়ে বড় কষ্টে দিন যাপন করছি। ঠিকমত কোন খরচ পাতি ঘরে নিয়ে আসতে পারছিনা।
এ দিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করছেন। কিন্তু প্রশাসন করোনা থেকে বাঁচতে হলে আগে সচেতন হতে হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষে একা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এটা একটা কঠিন কাজ। তবুও পুলিশ মাঠে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য। নিজেরা সচেতন হলেই কঠিন এই সময়ে বেঁচে থাকা সম্ভব। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল লকডাউন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।