২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
শনিবার (১২ জুন) ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৮ জুন রাতে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দীঘিরপাড় গ্রামের শাজাহান শেখের ছেলে আলাউদ্দিন শেখের সঙ্গে পাশের শেখর গ্রামের কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে ছিয়াম কাজী ও ছামি কাজীর পাবজি খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছিয়াম ও ছামির মামা শেখর, গ্রামের নুরু খন্দকারের ছেলে নাঈম খন্দকার ১০/১৫ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে আলাউদ্দিন শেখের চাচা মো. খোকন শেখের বাড়িতে রাত ১১টায় হামলা চালায়। এ সময় খোকন শেখ ও তার ছেলে সোহাগ শেখকে এলোপাথারি মারধর করে তারা। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে পিতা পুত্রকে ঘর থেকে বের হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় নাঈম ও তার বাহিনী।
এরপর থেকে নাঈমের অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, লোহার রড নিয়ে বাড়ির আশপাশে সকাল বিকাল মহড়া দিয়ে থাকে। শেখর গ্রামে নাঈম শেখের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। এদিকে দিন মজুরির উপর নির্ভরশীল পরিবারটি নাঈমের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গোটা পরিবার।
ঘটনার সত্যতা জানতে নাঈম খন্দকারের বাড়িতে গেলে পরিবারের সদস্যরা জানায়, তিনি পার্শ্ববর্তী উপজেলা আলফাডাঙ্গায় একটি ক্লিনিকে চাকরি করেন। সকালে কর্মস্থলে চলে গেছেন।
আলফাডাঙ্গায় নাঈম খন্দকারের কর্মস্থলে গিয়ে জানা যায় তিনি ছুটি নিয়েছেন। এ সময় তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্লা সময়নিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।