১৯ মে ২০২৪, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
পটুয়াখালীতে ফোন চাওয়ায় মায়ের বকাঝকা, এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা আগৈলঝাড়ায় শুক্রবার রাতে স্কুল ছাত্রী ও গৃহবধুর আত্মহত্যা বরিশাল নগরী বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনমূলক অভিযান বাবুগঞ্জে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা মামলায় কারাগারে মাদরাসা সুপার চাঁদপাশায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা বিনতে ওহাব এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত রিকশাচালককে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া সেই পুলিশ সদস্য ক্লোজড বরিশালে স্বামীর জমানো টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী তেঁতুলিয়া হাসপাতালে অকেজো মালামাল টেন্ডারে ঘাবলা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
দ্রুত এগিয়ে চলছে বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের বেকুটিয়া সেতুর নির্মাণকাজ, কঁচা নদীর দুই তীরে খুশির জোয়ার।

দ্রুত এগিয়ে চলছে বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের বেকুটিয়া সেতুর নির্মাণকাজ, কঁচা নদীর দুই তীরে খুশির জোয়ার।

আজকের ক্রাইম ডেক্স

দ্রুত এগিয়ে চলছে বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের বেকুটিয়া সেতুর নির্মাণকাজ, কঁচা নদীর দুই তীরে খুশির জোয়ার
দ্রুত এগিয়ে চলছে বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের বেকুটিয়া সেতুর নির্মাণকাজ

বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের পিরোজপুরের বেকুটিয়া-কুমিরমারা পয়েন্টে কঁচা নদীর ওপর অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে সেতুর ৭২ ভাগ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে সেতুর সুপার স্ট্রাকচার এবং এপ্রোচ সড়কের নির্মাণকাজ। আগামী বছরের জুনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের বেকুটিয়া সেতু উদ্বোধনের আশা করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

সেতুটি চালু হলে বরিশাল-পিরোজপুর-বাগেরহাট-খুলনা ও মোংলা সমূদ্র বন্দর যাতায়াতে সময় অনেক কমবে। এতে খুশি বেকুটিয়া ফেরিঘাটে দুর্ভোগের শিকার পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রী-সহ স্থানীয় মানুষ।

সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। জি টু জি পদ্ধতিতে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় চীনের ‘চায়না রেলওয়ে সেভেনটিন ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড’।

এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮শ’ ৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি টাকা গ্রান্ড অনুদান দিয়েছে চীন সরকার। বাকি ২শ’ ৪৪ টাকার যোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ৪শ’ ২৯ মিটার ভায়াডাক্ট-সহ সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪শ’ ২৭ মিটার এবং প্রস্থ ১০.২৫ মিটার (ডাবল লেন)।

মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৯শ’ ৯৮ মিটার।
১০টি পিলার এবং ৯টি স্প্যানের উপর দাড়িয়ে আছে বক্স গার্ডার টাইপ এই সেতুটি। ৯টি স্প্যানের ৭টি ১২২ মিটার এবং ৭২ মিটার স্প্যান রয়েছে ২টি। গত ৩ বছরে সেতুর ৭২ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার সকালে কঁচা নদীর ওপর বেকুটিয়া সেতু নির্মাণের সার্বিক অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শন করেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর।

এ সময় বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুম মাহমুদ সুমনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি এবং কাজের গুণগত মানে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান প্রকৌশলী।
এ সময় তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনাকালেও দিনরাত দুই শিফটে কাজ চলছে। আগামী বছর জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার প্রত্যাশার কথা বলেন সওজের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর।

সওজ বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল বলেন, বরিশাল-খুলনা সরাসারি সড়ক যোগাযোগে সব শেষ প্রতিবন্ধকতা বেকুটিয়ার কঁচা নদী। সরকারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতায় কঁচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই সেতু চালু হলে খুলনা, মোংলা ও বাগেরহাট অঞ্চলের সাথে পায়রা সমূদ্র বন্দর এবং রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ আরও সহজতর হবে। এতে এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনে গতি আসবে বলে আশা করেন তিনি।

অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ও বরিশাল সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম মাহমুদ সুমন বলেন, দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও শ্রমিকরা দিনরাত সেতুটি নির্মাণে কাজ করছেন। আগামী বছরের জুনে সেতুটি উদ্বোধন হলে বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের মধ্যে সড়ক পথে ট্রাভেল টাইম (যাতায়াত সময়) অন্তত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা কমে যাবে এবং সহজ যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।

এদিকে বেকুটিয়া সেতু নির্মাণে খুশি এলাকাবাসী-সহ পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। সেতুটি চালু হলে বরিশাল-খুলনা রুটে ফেরিবিহীন সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হবে বলে তারা জানান। ফেরিঘাটে দীর্ঘ ভোগান্তির অবসান ঘটতে যাওয়ায় আনন্দের জোয়ার বইছে কঁচা নদীর দুই তীরে। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।

বেকুটিয়া ফেরীর যাত্রী সাহেব আলী জানান, বিএনপি সরকারের সময় বারবার এই সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিএনপি যেটা পারেনি, সেটা সম্ভব করে দেখাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। সরকার প্রধানের সুনজরের কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এখন জেঁগে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন তিনিসহ অন্যান্য যাত্রীরা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019